সোনার দামে সাম্প্রতিক পতনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অনেক বিনিয়োগকারী। কিছুদিন আগেই প্রতি ১০ গ্রামে সোনার দাম ১ লক্ষ টাকার গণ্ডি ছুঁয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকেই ক্রমশ দাম কমছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই পতন অব্যাহত থাকে, তবে সোনার দাম নেমে যেতে পারে ৮৭,০০০ টাকায়।
এক বছরে ৩০% বৃদ্ধি, তবু আশঙ্কার মেঘ
২০২৪ সালের অক্ষয় তৃতীয়ায় প্রতি ১০ গ্রামে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ছিল ৭৩,২৪০ টাকা। ২০২৫ সালের অক্ষয় তৃতীয়ায় তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৯৭,০০০–৯৮,০০০ টাকায়। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ৩০ শতাংশেরও বেশি রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
দশ বছরে তিনগুণ দাম, তবু আশঙ্কার কারণ কী?
২০১৪ সালের অক্ষয় তৃতীয়ায় প্রতি ১০ গ্রামে সোনার দাম ছিল ৩০,১৮২ টাকা। গত দশকে সেই দাম তিনগুণ হয়ে পৌঁছেছে ১ লক্ষ টাকার দোরগোড়ায়। তবু বাজারে তৈরি হয়েছে আশঙ্কার পরিবেশ।
কেন এমন আশঙ্কা?
অ্যাক্সিস সিকিউরিটিজ-এর সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট দেব্যা গাগলানির মতে, ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে সোনার দাম ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত দশকে দেখা যায়নি। তবে তিনি মনে করছেন, যদি বাজারে পতন শুরু হয়, তবে সোনার দাম ৮৭,০০০ টাকার কাছাকাছি নামতে পারে।
পতনের সম্ভাব্য কারণ কী?
বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলোর ক্রয়, ডলারের দামের পতন এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সোনার দামকে প্রভাবিত করছে। তবে ভবিষ্যতে যদি চিন-আমেরিকার মধ্যে কোনও বাণিজ্য চুক্তি হয়, তাহলে তা সোনার দামে পতন ঘটাতে পারে।
এখন কি সোনা কেনার সঠিক সময়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ৫-১০% দাম কমে, তাহলে বিনিয়োগকারীদের কিস্তিতে সোনা কেনার সুযোগ তৈরি হবে।
রুপোর দিকেও নজর
সোনার পাশাপাশি রুপোর দামও ক্রমবর্ধমান। শিল্পক্ষেত্রে চাহিদা এবং বিনিয়োগের কারণে রুপোর দাম বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তা এবং সুদের হার কমার সম্ভাবনার কারণে দীর্ঘমেয়াদে রুপোর দামের প্রবণতাও ঊর্ধ্বমুখী।