
ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র নিয়ে এখন চারদিকে হইচই। কারণ, এই ব্যাঙ্কে নিজেদের অংশীদারি কিছুটা বেচতে চলেছে সরকার। যতদূর খবর, নিজেদের ৫ শতাংশ অংশ বেচে দিতে চলেছে সরকার। আর তারপরই এই শেয়ারের দামে বিরাট পতন এসেছে।
কমেছে দাম
ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র এমনিতে লগ্নিকারীদের মুনাফাই দিয়ে এসেছে এতদিন। তবে যখনই সরকার নিজের কিছুটা অংশ বেচতে চলেছে বলে খবর সামনে এসেছে, তখন থেকেই দামে পতন হয়েছে শেয়ারের।
মাথায় রাখতে হবে, এই নভেম্বর মাসেই ৫২ সপ্তাহের হাইতে ছিল স্টকটি। তবে সোমবারই এর দাম ১.৪৭ শতাংশ কমছে। ১ ডিসেম্বরে মার্কেট খোলার সময় এর দাম ছিল ৪৮.৮১ টাকায়। তারপর এটি পৌঁছে যায় ৫৯.৬৮ টাকায়। মার্কেট বন্ধ হওয়ার সময় শেষ করে ৫৭.৭০ টাকায়। আর তাতেই মন খারাপ বিনিয়োগকারীদের। ৪৪,৩৪০ কোটির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন থাকা এই ব্যাঙ্কের শেয়ারের দামের পতন নিয়ে তাঁদের একাংশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছে।
কোভিডের পর থেকে দারুণ উঠেছে
কোভিড চলার সময় খুবই খারাপ হাল হয়েছিল শেয়ারবাজারের। আর সেই একই ট্রেন্ড ছিল ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রেরও। তবে করোনাকাল কাটার পরই হু হু করে বাড়তে শুরু করে শেয়ারের দাম। এটির দাম বৃদ্ধি পায় ৫৬৫ শতাংশ। এর অর্থ হল, এই স্টকে টাকা লাগিয়ে বিরাট মুনাফা কামিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
সরকারের অনেকটা স্টেক রয়েছে
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের হিসেব বলছে, সরকারের এই ব্যাঙ্কে ৭৯.৬০ শতাংশ অংশ রয়েছে। তবে ৫ শতাংশ অংশ বেচে দেবে সরকার বলেই খবর। যার ফলে ৭৫ শতাংশের নীচে চলে আসবে তাদের অংশীদারি।
তবে সরকার ছাড়াও এলআইসি ৭.১০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড ৭.১০ শতাংশ এবং অন্যান্য ব্যাঙ্কের ০.৫৭ শতাংশ স্টেক রয়েছে ব্যাঙ্ক অব মরারাষ্ট্রে। আর রিটেল ইনভেস্টরদের ৬.৮৩ শতাংশ স্টেক রয়েছে।
কী হতে পারে?
এখনও ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র নিয়ে বুলিশ ব্রোকারেজ ফার্ম। এইচডিএফসি সিকিউরিটিজ এই ব্যাঙ্ককে বাই রেটিং দিয়েছি। তারা টার্গেট প্রাইস দিয়েছে ৭০ টাকা। জিওজিৎ ফিনান্সিয়ালের টার্গেট প্রাইস ৬৮ টাকা। আবার ব্রোকারেজ গ্লোব ক্যাপিটাল টার্গেট দিয়েছে ৭৫ টাকা।
বিদ্র: এই নিবন্ধটি পড়ে আবার স্টক কিনবেন না বা বিনিয়োগ করবেন না। এটি খবর দেওয়ার এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এছাড়া নিজেও করুন রিসার্চ। তারপরই স্টকে করুন ইনভেস্ট।