হার্লে-ডেভিডসন এবার মোটরসাইকেল প্রেমীদের জন্য নিয়ে আসছে দারুণ সুখবর। বিখ্যাত আমেরিকান বাইক নির্মাতা সংস্থাটি তাদের নতুন এন্ট্রি-লেভেল বাইক ‘Harley-Davidson Sprint’ বাজারে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার দাম হবে অনেকটাই সাধারণের নাগালে। ব্র্যান্ডটি নিশ্চিত করেছে, এই বাইকটি ২০২৬ সালে বিশ্ববাজারে লঞ্চ করা হবে এবং এটি হার্লে-ডেভিডসনের অন্যতম সাশ্রয়ী মডেল হিসেবে পরিচিতি পাবে।
সংস্থার সিইও জোচেন জেইৎজ জানিয়েছেন, এই বাইক তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০২১ সালেই। যদিও এখনো নির্দিষ্ট লঞ্চের দিন জানানো হয়নি, তবে অনুমান করা হচ্ছে, চলতি বছর ইতালির মিলানে EICMA মোটরসাইকেল শো-তে বাইকটি প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হতে পারে।
কী থাকবে দামে ও ফিচার্সে?
এই নতুন স্প্রিন্ট বাইকটির দাম নির্ধারণ করা হতে পারে ৬,০০০ মার্কিন ডলারের নীচে, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৫.২৩ লক্ষ টাকা অন-রোড। হার্লে-ডেভিডসনের মতে, এটি হবে একটি সম্পূর্ণ নতুন সেগমেন্টে প্রবেশের চেষ্টা, যেখানে তাদের উপস্থিতি এতদিন ছিল না। মূলত তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য করে বাইকটি ডিজাইন করা হচ্ছে। তবে তাদের প্রিমিয়াম বাইকের মতোই, এই বাইকেও শক্তিশালী পারফরম্যান্স বজায় রাখার চেষ্টা থাকবে।
ভারতের বাজারে গুরুত্ব
হার্লে এর আগেও ২০১৪ সালে ভারতীয় বাজারে Street 750 মডেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী সেগমেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, যদিও তা সেভাবে সফল হয়নি। তবে স্প্রিন্টের ক্ষেত্রে সংস্থার আশা, এবার তারা সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও সফলভাবে সেগমেন্টটি দখল করতে পারবে।
এই বাইকটির পাশাপাশি আরও একটি নতুন বাইক লঞ্চ করার পরিকল্পনাও রয়েছে সংস্থার, যদিও তার নাম এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। সব মিলিয়ে, স্প্রিন্ট বাইকটি যদি সময়মতো লঞ্চ হয় এবং প্রতিশ্রুত ফিচার ও দামে আসে, তবে তা বাজারে বড় সাড়া ফেলতে পারে, বিশেষত যাঁরা হার্লে-র ব্র্যান্ড ভ্যালু বজায় রেখে অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী একটি বিকল্প খুঁজছেন।