Investment Tips: ১৫-১৫-১৫ নিয়ম মানলে আপনিও হতে পারেন কোটিপতি, কী এই নিয়ম?

১৫-১৫-১৫  নিয়মটি বুঝুন 
পঙ্কজ মাথপাল (Pankaj Mathpal), প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, অপটিমা মানি ম্যানেজারস, বলেছেন যে একজন ব্যক্তি যদি দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সুশৃঙ্খলভাবে সঠিক তহবিলে বিনিয়োগ করেন, তাহলে তিনি ভাল রিটার্ন পেতে পারেন।১৫-১৫-১৫-এর নিয়ম স্পষ্ট করে তিনি বলেন যে ১৫-১৫-১৫ মানে প্রতি মাসে এখানে বিনিয়োগের পরিমাণ, সময় এবং সুদের হার। তিনি বলেন যে ধরুন একজন ব্যক্তি ১৫  বছরের জন্য প্রতি মাসে ১৫ হাজার  টাকা বিনিয়োগ করলে এবং গড়ে ১৫  শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন পেলে তিনি কোটিপতি হতে পারেন।

মোট কত বিনিয়োগ করতে হবে?
মঠপাল জানান, যদি কোনো ব্যক্তি ১৫ বছর ধরে প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা জমা করেন, তাহলে এটা খুব স্পষ্ট যে তাকে মোট ২৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। যদি বার্ষিক গড় রিটার্নের হার ১৫  শতাংশ হয়, তাহলে২৭  লাখ বিনিয়োগে তিনি ১৫  বছরে মোট  ৭৪,৫২,৯৪৬ টাকা রিটার্ন পাবেন। এভাবে তার বিনিয়োগের মোট মূল্য দাঁড়াবে ১.০১ কোটি টাকা।

এভাবে আরও দ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে
 মঠপাল ব্যাখ্যা করেছেন যে প্রতি মাসে  ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করার পরে, যদি একজন ব্যক্তি আয় বৃদ্ধির জন্য তার বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন, তাহলে ১৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি কোটিপতি হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন।

দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের অনেক সুবিধা রয়েছে 
আর্থিক পরিকল্পনাবিদরা বলছেন যে আপনি যখন দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করেন তখন আপনি চক্রবৃদ্ধির সুবিধা পান। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি ১৫ এর পরিবর্তে ২০ বছরের জন্য ১৫ হাজার  টাকা বিনিয়োগ করতে থাকেন তবে ২০ বছর পর ১৫  শতাংশ হারে আপনি ২.২৭  কোটি টাকা পাবেন। এইভাবে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে আরও পাঁচ বছর বিনিয়োগ করার পরে, আপনি যে পরিমাণ পাবেন তা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে।

(Disclaimer: মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা বাজারের ঝুঁকির সাপেক্ষে। তাই, যেকোনো ফান্ডে বিনিয়োগ করার আগে, অনুগ্রহ করে আপনার আর্থিক পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)