
সকলেই ধনী হতে চান। তবে 'বড়লোক' হওয়া কিন্তু চারটিখানি কথা নয়। এর জন্য একাধিক নিয়ম মেনে চলতে হয়। দৈনন্দিন জীবনে গড়ে তুলতে হয় কিছু সুঅভ্যাস। তার ফলেই ব্যাঙ্কে জমতে থাকে দিস্তা দিস্তা টাকা। বড়লোক হয়ে ওঠেন একজন ব্যক্তি।
এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কোন কোন নিয়ম মেনে চললে ধনী হওয়া সম্ভব? আর সেই উত্তরটা জানতে চাইলে পড়ুন নিবন্ধটি। তারপর এই অভ্যাসকে করে ফেলুন নিত্যদিনের সঙ্গী। তাহলেই দেখবেন আপনার ব্যাঙ্কে থাকবে শুধু টাকা আর টাকা।
সেভিংস হল মাস্ট
অনেকেরই সেভিংসের কোনও ইচ্ছে থাকে না। তাঁরা শুধু খরচে বিশ্বাসী। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাঁদের টাকা জমতে চায় না। তাই সবার প্রথমে এই ভুলটা শুধরে নিতে হবে। চেষ্টা করুন হাতে টাকা আসার পর সবার প্রথমে সেভিংস করে নেওয়ার। তারপর না হয় টাকা খরচ করবেন। এই নিয়মটা মেনে চললেই ধনী হয়ে উঠতে পারবেন।
ধার নয়
ধার নেওয়ার অভ্যাস কিন্তু খুব খারাপ। এটা আপনার অত্যধিক খরচ করার মানসিকতার দিকেই আঙুল তুলে দেয়। আর একবার ধারের ফাঁদে পড়লে সেখান থেকে বেরনোও খুব কঠিন। তাই ভুলেও ধার নেবেন না। যতটা সম্ভব নিজের আয় অনুযায়ী খরচকে সীমাবদ্ধ রাখুন। ব্যাস, এই কাজটা করলেই দেখবেন খেলা ঘুরে যাবে। আপনার ব্যাঙ্কেও থাকবে টাকা।
এমার্জেন্সি ফান্ড হল মাস্ট
বিপদ বলে আসবে না। তাই একটা এমার্জেন্সি ফান্ড হল মাস্ট। নইলে আপনার জমানো টাকা হুট করে একদিনেই শেষ হয়ে যেতে পারে। তখন কিন্তু কেঁদেও কোনও লাভ হবে না। তাই চেষ্টা করুন এমার্জেন্সি ফান্ড অবশ্যই তৈরি করে নেওয়ার। এক্ষেত্রে মাইনের অন্ততপক্ষে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এমার্জেন্সি ফান্ডে বিনিয়োগ করতে হবে। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
ইনভেস্টমেন্টের বিকল্প নেই
সেভিংসের সবটাই ব্যাঙ্কে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তার বদলে নিজের ও বিশেষজ্ঞের কথামতো কিছু টাকা স্টকমার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ড বা বন্ডে ইনভেস্ট করুন। তাহলে এফডি বা রেকারিং ডিপোজিটের থেকে অনেকটা বেশি পরিমাণে টাকা পাবেন। আপনার টাকা গ্রো করবে।
ফোন, বাইক, গাড়িতে বেশি খরচ নয়
অনেকেই একটু টাকা পেলেই ফোন, বাইক বা গাড়ি কিনে নেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই টাকা জমতে চায় না। উল্টে খরচ বাড়ে। এমনকী ইএমআই-এর চক্করে পড়ে যেতে হয়। তাই এই ভুলটা এড়িয়ে চলুন। তার বদলে এই সব ক্ষেত্রে খরচ করা টাকা সেভিংস করুন বা মিউচুয়াল ফান্ডে করুন ইনভেস্ট। ব্যাস, তাতেই দেখবেন আপনি ধনী হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে।