দূষণ কমাতে, সরকার "গ্রিন ক্র্যাকার"-র প্রচার করছে। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লিতেও "গ্রিন ক্র্যাকার" ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এই আতশবাজিগুলি সাধারণ আতশবাজির তুলনায় কম ধোঁয়া বের হয়। পরিবেশের জন্য ভালো। কিন্তু প্রশ্ন হল কীভাবে এই গ্রিন ক্র্যাকারগুলি সনাক্ত করবেন?
গ্রিন বাজি কী?
গ্রিন বাজি সাধারণ বাজিরর থেকে আলাদা কারণ এতে বেরিয়াম নাইট্রেটের মতো বিষাক্ত পদার্থ কম থাকে বা থাকে না। এগুলো থেকে ৩০-৪০% কম বের হয়। সুপ্রিম কোর্ট এগুলোকে অনুমোদন দিয়েছে যাতে দীপাবলিতে বাজি পোড়ালেও বাতাস পরিষ্কার থাকে। দিল্লি-এনসিআরের মতো এলাকায় বিক্রি এবং ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত একমাত্র আতশবাজি।
গ্রিন বাজি কীভাবে শনাক্ত করবেন?
বাজারে প্রচুর আতশবাজি বিক্রি হয়, কিন্তু নকলও পাওয়া যায়। ভুল আতশবাজি কেনা মানে নিয়ম ভঙ্গ করা। তাই, এগুলি শনাক্ত করার জন্য এই সহজ পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন...
CSIR-NEERI এর সবুজ লোগোটি দেখুন: প্রতিটি আসল গ্রিন বাজির প্যাকেজিংয়ে সবুজ "CSIR-NEERI" লোগোটি প্রিন্ট থাকে। এই লোগোটি দেখলেই নিশ্চিত হওয়া যায় আতশবাজিটি আসল। যদি লোগোটি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে এটি কিনবেন না।
QR কোড স্ক্যান করুন: প্যাকেটে একটি QR কোড থাকে। মোবাইল ক্যামেরা অথবা কোনও অ্যাপ (যেমন CSIR-NEERI Green Cracker Verification App) ব্যবহার করে এটি স্ক্যান করুন। এটি স্ক্যান করলে আতশবাজি সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে - যেমন এর রাসায়নিক পদার্থ এবং এটি কতটা দূষণ সৃষ্টি করবে। যদি কোডটি ভুয়া হয় বা স্ক্যান না করে, তাহলে সাবধান থাকুন।
প্যাকেজিং পরীক্ষা করুন: গ্রিন বাজি সাধারণত শক্তপোক্ত এবং স্বচ্ছ হয়। এগুলো "গ্রিন ক্র্যাকার" অথবা "NEERI অনুমোদিত" লেবেলযুক্ত হওয়া উচিত। নাম, ওজন এবং প্রস্তুতকারকের নাম স্পষ্টভাবে প্রদর্শিত হয়। যদি আপনি কিছু ভুল লক্ষ্য করেন, তাহলে দোকানদারের কাছ থেকে বিল চাইতে পারেন।
দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করুন: কিছু জায়গায় জাল কোড সহ বাজি বিক্রি হচ্ছে, তাই সাবধান থাকুন।
এই টিপসগুলি অনুসরণ করলে সহজেই আসল গ্রিন বাজি বেছে নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, গ্রিন বাজিতে শব্দ কম, মজা বেশি।
সঠিক শনাক্তকরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ
সুপ্রিম কোর্ট ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি-এনসিআর-এ কেবল গ্রিন বাজি বিক্রি এবং পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। ভুল ধরনের বাজি কিনলে বা বিক্রি করলে দূষণ বৃদ্ধি পায়, যা শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণ হতে পারে। শিশু এবং বয়স্করা বিশেষ করে ঝুঁকিতে থাকে। তাই সঠিক শনাক্তকরণ সকলের জন্য উপকারী।
শনাক্তকরণে ভুল হলে কী শাস্তি বা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন?
এখন, সবচেয়ে গুরুতর বিষয় হল: যদি কোনও দোকানদার গ্রিন বাজি ছাড়া অন্য কিছু বিক্রি করে, এমনকি ভুল করেও বিক্রি করে, তাহলে শাস্তি কঠোর। এই নিয়মগুলি দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (DPCC) এবং বিস্ফোরক আইনের অধীনে পড়ে...
বিক্রি বা মজুদ: ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড। লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে।
আইন ভাঙলে: ২০০ টাকা জরিমানা এবং ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড।
যদি ভুলটি বারবার করা হয়, তাহলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হতে পারে। পুলিশ এবং পরিবেশ বিভাগ পরিদর্শন করছে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন।