
এখন অধিকাংশ বাড়িতেই এলপিজি গ্যাসে রান্না হয়। এর উপরই আমরা নির্ভরশীল। তবে মুশকিল হল, অনেকেই গ্যাস ঠিক ঠাক ব্যবহার করতে জানেন না। যেই কারণে তাদের বেশি খরচ হয়। মাসে একটার বেশিও গ্যাস লেগে যায় অনেক সময়। ও দিকে আবার রান্নায় গ্যাসে ভর্তুকি কমেছে। যার ফলে পকেট থেকে খসছে বেশি টাকা।
তবে মাথায় রাখতে হবে, কয়েকটি সহজ উপায় মেনে চললে অনায়াসে বাঁচানো যায় গ্যাস। তাই দ্রুত সেই নিনজা টেকনিক সম্পর্কে জেনে নিন। তাহলেই দেখবেন লাভ হবে।
প্রেশার কুকারে করুন রান্না
গ্যাস বাঁচাতে চাইলে প্রেশার কুকার ব্যবহার করতে হবে। এটিতে খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায়। ফলে গ্যাস খরচ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
তবে একটা কথা জেনে রাখুন, প্রেশার কুকারের সার্ভিসিং করবেন নিয়মিত। নইলে বিপদ হতে পারে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই সার্ভিসিংয়ের অভাবে প্রেশার কুকার ফেটে যেতে পারে।
অহেতুক বেশি রান্না করবেন না
অনেকেই খাবারকে ওভারকুক করেন। আর এই ভুলটা করেন বলেই গ্যাস বেশি পোড়ে। তাই এমনটা করা চলবে না। বরং যতটা দরকার, ঠিক ততটাই ব্যবহার করুন গ্যাস। তাতেই দেখবেন সাশ্রয় হবে টাকা।
ঠিকঠাক পাত্রে রান্না করুন
গ্যাসে রান্নার জন্য সঠিক পাত্র নির্বাচন করুন। এমন পাত্র ব্যবহার করুন যার আয়তন গ্যাসের বার্নারের থেকে কিছুটা বড় বা সমান। তাহলেই দেখবেন কাজ হবে। খুব তাড়াতাড়ি খাবার রেঁধে ফেলতে পারবেন। গ্যাসের খরচ বেশি হবে না।
আগে থেকে গ্যাস জ্বালিয়ে রাখবেন না
রান্না করার অনেক আগেই গ্যাস জ্বালিয়ে রাখেন। তাতে গ্যাস অপচয় বাড়ে। বাড়তি টাকা খসে যায় পকেট থেকে। তাই এই সমস্যা সমাধানে একবারে রান্না করার সময়ই গ্যাস জ্বালিয়ে নিন। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে।
মাঝে মধ্যেই বার্নার পরিষ্কার করুন
অনেক সময় গ্যাসের বার্নারের মধ্যে জমে যায় ময়লা। ফলে গ্যাস অপচয় হয়। তাই চেষ্টা করুন মাঝে মধ্যেই গ্যাস বার্নার পরিষ্কার করার। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে। দেখবেন গ্যাস হবে সাশ্রয়।
আর অবশ্যই বছরে একবার গ্যাসের সার্ভিস করা মাস্ট। এটা না করলে যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। এমনকী গ্যাস বেশি পুড়তে পারে। তাই বছরে একবার সার্ভিস করে নিন। তাহলেই আপনি সুরক্ষিত থাকবেন। পাশাপাশি গ্যাসের খরচও কমবে। বাঁচবে অনেকটা টাকা।