সামনেই আয়কর রিটার্ন (ITR) ফাইলিংয়ের শেষ দিন। Income Tax Return ফাইলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫। আগে ৩১ জুলাই শেষ দিন ছিল। পরে সরকার তা দেড় মাসেরও বেশি বাড়িয়ে দেয়। এবার সেই সময়সীমা ফের বাড়ানো হবে কি না, তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ইতিমধ্যেই সারা দেশে ৫.৩০ কোটিরও বেশি আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছে। কিন্তু বহু করদাতা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের দাবি, পোর্টালের বারবার সমস্যা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে ITR প্রসেসিংয়ে দেরি হচ্ছে। এর পাশাপাশি রিফান্ড স্ট্যাটাস আপডেটেও সমস্যা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এহেন পরিস্থিতিতে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সবার রিটার্ন জমা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। এমনকি তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুল রিটার্ন জমা দেওয়ার ঝুঁকিও থেকে যাচ্ছে। তাই তাঁরা আরও সময় চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।
CA দের দাবি
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে লিখিত অনুরোধ জানিয়েছেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অনুপম শর্মা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ট্যাগ করে লিখেছেন, '১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সময়সীমা বাড়িয়ে অন্তত ৩০ সেপ্টেম্বর করা উচিত।' তিনি বলছেন, ITR পোর্টালের সমস্যা, AIS ডেটায় অসঙ্গতি এবং একাধিক আইনি ডেডলাইনের চাপ রয়েছে। তাই এমতাবস্থায় আরও একটু সময় না দিলে করদাতা ও ট্যাক্স কনসালট্যান্টদের উপর অযথা চাপ তৈরি হবে।
ফের সময়সীমা বাড়বে?
এখনও পর্যন্ত আয়কর দফতরের তরফে সময়সীমা বাড়ানোর কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ বছর ফের সময়সীমা বাড়ানো প্রায় অসম্ভব। কারণ সরকার ইতিমধ্যেই মূল সময়সীমার পর অতিরিক্ত ৪৬ দিনের ছাড় দিয়েছে। তার উপর, আগের বছরের মতোই রিটার্ন ইতিমধ্যেই জমা পড়ে গিয়েছে। বিপুল লোকের যে বাকি আছে, এমনটা নয়। ফলে সময় আর বাড়ানো নাও হতে পারে।
জরিমানা ও লেট ফি
এই ডেডলাইন মিস করলেই যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে, তাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন কর বিশেষজ্ঞরা। আয়কর আইনের ২৩৪এফ ধারা অনুযায়ী, দেরিতে রিটার্ন জমা দিলে সর্বাধিক ৫,০০০ টাকা জরিমানা গুনতে হবে। যাঁদের আয় ৫ লক্ষ টাকার কম, তাঁদের ক্ষেত্রে এই জরিমানা কম। তবে সেটাও ১,০০০ টাকা। তাছাড়া দেরিতে রিটার্ন ফাইল করলে রিফান্ড পেতেও অনেক বেশি সময় লাগে।
তাই কর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বসে না থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিটার্ন ফাইল করে দেওয়া উচিত। ১৫ সেপ্টেম্বর যত এগিয়ে আসবে, ওয়েবসাইটের সার্ভারে চাপও তত বাড়বে। তাই আগেভাগেই ITR জমা দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।