দুরন্ত গতিতে ছুটছে ভারতের অর্থনীতি। আয় বাড়ছে একটা বড় অংশের মানুষের। সেই সঙ্গে বাড়ছে ফ্ল্যাটের চাহিদাও। বাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যানের উপর নির্ভর করে মানুষের আর্থিক সমৃদ্ধি। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে নাইট ফ্র্যাঙ্ক নামে একটি সংস্থা। এর আগে Anarock এবং PropEquity-র মতো সংস্থা দাবি করেছিল,গত ত্রৈমাসিকে বাড়ি বিক্রি কমেছে। তবে নাইট ফ্র্যাঙ্কের দাবি, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বাড়ি বিক্রি বেড়েছে।
নাইট ফ্র্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৮টি বড় শহরে বাড়ি বিক্রি গত ত্রৈমাসিকে ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে ৮৭ হাজার ১০৮টি। গত বছর এই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ৮২ হাজার ৬১২টি ফ্ল্যাট।
১ কোটি টাকার বেশি ফ্ল্যাট বিক্রির চাহিদাবৃদ্ধি
প্রিমিয়াম ফ্ল্যাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা আর্থিক বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ১ কোটি টাকার উপরে বাড়ি বিক্রি বেশি হচ্ছে। নাইট ফ্র্যাঙ্কের মতে, জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ৫০ লাখ টাকার নিচে মোট বাড়ি বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার ৭৬৯টি। ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার বাড়ি বিক্রি হয়েছে মোট ২৬ হাজার ১১টি ইউনিট। ১ কোটি টাকার বেশি দামের ৪০ হাজার ৩২৮ ইউনিট বাড়ি বিক্রি হয়েছে।
বাড়ির দাম ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ত্রৈমাসিক নিয়ে টানা ১১বার ত্রৈমাসিকে বেড়েছে ফ্ল্যাটের দাম। ফ্ল্যাট বিক্রির নিরিখে সবার আগে কলকাতা। এই শহরে বাড়ি বিক্রি বেড়েছে ১৪ শতাংশ। বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদে বিক্রি বেড়েছে ১১ শতাংশ করে। মুম্বই ও হায়দরাবাদে ৯ শতাংশ এবং চেন্নাইয়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে ফ্ল্যাট বিক্রি। গত ত্রৈমাসিকে এনসিআরে বাড়ি বিক্রি ৭ শতাংশ কমেছে।
দিল্লি-এনসিআরে বাড়ি বিক্রি কমেছে। মুম্বইয়ে ফ্ল্যাট বিক্রয় বছরে ৯ শতাংশ বেড়েছে। বড় শহরগুলির মধ্যে বেঙ্গালুরুতে বিক্রির সর্বোচ্চ বৃদ্ধি হয়েছ। ১৪,৬০৪ ইউনিট বিক্রি হয়েছে বছরে। বৃদ্ধির হার ১১%। পুনেতে আবাসন বিক্রয় ১ শতাংশ বেড়ে ১৩,২০০ ইউনিট হয়েছে। হায়দরাবাদে চাহিদা ৯ শতাংশ বেড়ে ৯,১১৪টি হয়েছে। আহমেদাবাদে বাড়ির বিক্রয় ১১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪,৫৭৮ ইউনিট। কলকাতায় ১৪ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৪,৩০৯ ইউনিট। চেন্নাইতে বাড়ির বিক্রয় ৬ শতাংশ বেড়ে পৌঁছেছে ৪,১০৫ ইউনিটে।
তবে গত বছরের প্রথম ৯ মাসের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বাড়ি বিক্রি হয়েছে বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ শতাংশ।