বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ভারতীয় রেল। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করেন। রেলে ১২ লক্ষ কর্মচারী কাজ করেন, যা যেকোনও দেশের রেল ব্যবস্থার মধ্যে সর্বোচ্চ। এটি দেশের প্রায় প্রতিটি কোণকে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এজন্য এটিকে দেশের লাইফলাইনও বলা হয়।
প্রয়োজন এবং শখে অনেকে অনেক সময়ে এই ট্রেনে ভ্রমণ করেন। এর পাশাপাশি ভ্রমণের সময় রেলওয়ের সুযোগ-সুবিধাগুলিও উপভোগ করেন। এর জন্য সরাসরি এবং কিছুর জন্য পরোক্ষভাবে চার্জ দিতে হয়।
এরকম একটি সুবিধা হল ট্রেনের এসি ক্লাসে (থার্ড এসি, সেকেন্ড এসি, ফার্স্ট এসি) বেড রোল পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে কম্বল, বিছানার চাদর, বালিশ এবং তোয়ালে।
রেলওয়ের এই নিয়মটা জানেন?
এই বেডরোল যাত্রীদের তাদের সিটেই সরবরাহ করে আইআরসিটিসি (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন), যা টিকিট বুকিংয়ের সঙ্গে বুক করা হয় এবং এর চার্জও টিকিটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে।
যাত্রা শেষে এই বিছানার চাদর রেলওয়েকে ফেরত দিতে হবে। এটি প্রতিটি যাত্রীর নৈতিক দায়িত্ব। এগুলি চুরি বা নিয়ে যাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কারণ এগুলি রেলওয়ের সম্পত্তি।
কিন্তু ট্রেনের কম্বল, বিছানার চাদর, বালিশ বা তোয়ালে নিয়ে গেলে কী হতে পারে জানেন? দেশের আইন কী বলে?
কম্বল, চাদর, বালিশ বা তোয়ালে চুরির শাস্তি
ট্রেনে রেলওয়ের কম্বল, বিছানার চাদর, বালিশ বা তোয়ালে বহন করার সময় যদি কোনও যাত্রী হাতেনাতে ধরা পড়েন, তাহলে তাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আর যদি তিনি এক হাজার টাকা জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন, তাহলে আইনে ১ বছরের জেলের নিয়ম রয়েছে। তাই ভুল করেও কখনও এটি করবেন না।
ভারতীয় রেলে কম্বল, বিছানার চাদর, বালিশ ইত্যাদি রেলওয়ের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি এগুলি চুরি হয়ে যায়, তাহলে রেলওয়ে সম্পত্তি আইন, ১৯৬৬ এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। প্রথমবার ধরা পড়লে এক বছর পর্যন্ত জেল অথবা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে, অর্থাৎ, যদি এই অপরাধ একাধিকবার পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে ৫ বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা উভয়ই হতে পারে।
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও যাত্রী চুরি যাওয়া জিনিসপত্র সহ ধরা পড়েন, তাহলে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) বা রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তাই, যাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে তারা যেন ভ্রমণের সময় পাওয়া জিনিসপত্র ট্রেনের সিটেই রেখে যান।