Advertisement

Railway Blogging Ban: ট্রেনে রেলকর্মীরা Reels বা Video বানালে কড়া শাস্তি, কী হবে? জানাল রেল

Indian Railways: ভারতীয় রেলওয়ে কর্তব্যরত অবস্থায় ব্লগিং, রিল, ভিডিও তৈরি এবং সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট শ্যুট করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে। নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখার কারণে এই নিয়মটি কার্যকর করা হয়েছে।

ট্রেনে Reels বা  Video করা যাবে নাট্রেনে Reels বা Video করা যাবে না
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 10 Dec 2025,
  • अपडेटेड 3:28 PM IST

Indian Railways Bans Blogging Videography: যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় রেলওয়ে কর্তব্যরত অবস্থায় কর্মীদের ব্লগিং, ভিডিওগ্রাফি, লাইভ স্ট্রিমিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট তৈরি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, রেলওয়ে চত্বর, ইউনিফর্ম পরিহিত কর্মী এবং ট্রেন পরিচালনার ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। তবে, রেলওয়ে প্রশাসন এখন দেশব্যাপী কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে, এটিকে গুরুতর শৃঙ্খল লঙ্ঘন, নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং গোপনীয়তার লঙ্ঘন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। আদেশে বলা হয়েছে যে এই নিয়মটি তৎকাল ভিত্তিতে  কার্যকর হবে এবং যে কোনও কর্মচারী এটি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিউটির সময় রিল এবং ব্লগিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
রেলওয়ের জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, বেশ কয়েকজন কর্মচারী কর্তব্যরত অবস্থায় ট্রেন পরিচালনা, নিরাপত্তা পদ্ধতি এবং সংবেদনশীল স্থানের ভিডিও তৈরি করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। এটি রেলওয়ের পেশাদার ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং নিরাপত্তা প্রোটোকলকে বিপন্ন করে। রেলওয়ে এটিকে একটি গুরুতর পরিষেবা আচরণ লঙ্ঘন হিসাবে বর্ণনা করেছে এবং বলেছে যে এই ধরনের কার্যকলাপ যেকোনও ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই আদেশে স্টেশন, ওয়ার্কশপ, ইয়ার্ড, অফিস, কন্ট্রোল রুম, ট্রেন এবং অন্যান্য সংরক্ষিত এলাকা সহ প্রায় সমস্ত রেলওয়ে এলাকায়  কন্টেন্ট তৈরি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি!
রেলওয়ে বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য তৈরি ভিডিওগুলি প্রায়শই সংবেদনশীল ক্ষেত্র এবং ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত বিবরণ প্রকাশ করে, যা নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। বেশ কিছু ভ্লগার এবং কর্মচারীকে লোকোমোটিভ কেবিনের ভিতরে, কন্ট্রোল রুমে এবং ট্র্যাকে ছবি তুলতে দেখা গেছে, যা কেবল গোপনীয় তথ্যই প্রকাশ করে না বরং কার্যক্রমকেও বাধাগ্রস্ত করে। আদেশে বলা হয়েছে যে রেল ব্যবস্থার নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এবং এই নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করে এমন কোনও পদক্ষেপ সহ্য করা হবে না।

Advertisement

মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর কঠোরতা
রেলওয়ে কর্মীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর আরও কঠোর নিয়মকানুন কার্যকর করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন শুধুমাত্র বিরতির সময় এবং প্রয়োজনীয় যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। কর্তব্যরত অবস্থায় ভিডিও রেকর্ডিং, ছবি তোলা, এডিট করা বা যেকোনও প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেটের বিষয়বস্তুর জন্য রেলওয়ে সরঞ্জাম, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করাও  গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হয়। এটিও স্পষ্ট করা হয়েছে যে কোনও কর্মচারী ব্যক্তিগত লাভ বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের  জন্য সরকারি সম্পদ ব্যবহার করতে পারবেন না।

রায়পুর রেলওয়ে ডিভিশনে কর্মরত অবস্থায় কর্মীদের রিল তৈরির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে, যার ফলে প্রশাসন দ্রুত এই আদেশ জারি করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় ভিডিও  করা, ট্র্যাকে ভিডিও করা, অথবা ট্রেন পরিচালনার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা গুরুতর নিরাপত্তা হুমকির কারণ। একইভাবে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে জোন স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে কোনও কর্মচারীকে কর্মক্ষেত্রে ভিডিও  করার অনুমতি দেওয়া হবে না। নেটওয়ার্ক জুড়ে অভিন্ন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বেশ কয়েকটি বিভাগ এখন একই ধরণের নিয়ম বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কঠোর নজরদারি শুরু
রেলওয়ে প্রশাসন সকল নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা, তত্ত্বাবধায়ক এবং বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে যে, অধস্তন কর্মীরা যাতে ব্যতিক্রম ছাড়াই নতুন নিয়ম মেনে চলেন। তাদের কর্মীদের এই নির্দেশিকা সম্পর্কে সচেতন করতে এবং কঠোর পর্যবেক্ষণ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। কোনও নিয়ম লঙ্ঘন তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করার জন্য বেশ কয়েকটি বিভাগে আকস্মিক পরিদর্শনও শুরু করা হয়েছে।

নিয়ম ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে
রেল প্রশাসন স্পষ্ট সতর্কবার্তা জারি করেছে যে এই আদেশ লঙ্ঘনকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে বরখাস্ত, চার্জশিট, বেতন কাটা, সার্ভিস রেকর্ডে বিরূপ মন্তব্য, অথবা প্রয়োজনে আরও কঠোর শাস্তি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে রেলওয়ে চত্বরের নিরাপত্তা, কার্যক্রমের গোপনীয়তা এবং কর্মীদের দক্ষতা বজায় রাখার জন্য এই আদেশ প্রয়োজনীয়। রেলওয়ে আরও স্পষ্ট করেছে যে এই পদক্ষেপ ভ্লগিংয়ের বিরুদ্ধে নয়, বরং রেলের নিরাপত্তা এবং জনস্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয়।

Read more!
Advertisement
Advertisement