Indian Railway: ভারতে, প্রবীণ নাগরিকদের অর্থাৎ সিনিয়র সিটিজেনদের বাড়ির ছাদ বলা হয়। সমাজের পাশাপাশি সরকারও তাদের দেখভাল করে। এক্ষেত্রে রেলও পিছিয়ে নেই। ভারতীয় রেলওয়ে প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেন ভ্রমণে একাধিক সুবিধা দেয়।
রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ৬০ বছর বয়সী পুরুষ এবং ৫৮ বছর বয়সী মহিলা নাগরিককে প্রবীণ নাগরিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আগে রেলওয়ে তাদের প্রতিটি শ্রেণির ভাড়ায় ছাড় দিত। দুরন্ত, শতাব্দী, রাজধানী-র মতো ট্রেনেও এই ছাড় পাওয়া যেত। এই ছাড় ছিল মহিলা নাগরিকদের জন্য ৫০% এবং পুরুষ নাগরিকদের জন্য ৪০%। তবে করোনা মহামারির সময় সরকার এই ছাড় বন্ধ করে দেয়। প্রবীণ নাগরিকদের আবার কবে ছাড় দেওয়া হবে সে সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ভারতীয় রেলে দুই ধরনের কোচ রয়েছে। প্রথমটি সংরক্ষিত এবং দ্বিতীয়টি অসংরক্ষিত। যখনই একজন প্রবীণ নাগরিক রেলওয়েতে টিকিট বুকিং করেন, তাকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের লোয়ার বার্থ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, কোনও মহিলার বয়স ৪৫ বছরের বেশি হলে রেলের কম্পিউটার সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে লোয়ার বার্থ দেয়। কিন্তু এই অগ্রাধিকার দেওয়া হয় শুধুমাত্র টিকিটের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে।
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আসন সংরক্ষিত
রেলের যে ট্রেনগুলিতে কোচ সংরক্ষিত থাকে, সেখানে কিছু আসন অর্থাৎ বার্থ প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। প্রতিটি স্লিপার কোচে বয়স্ক নাগরিকদের জন্য প্রায় ৬টি লোয়ার বার্থ সংরক্ষিত রয়েছে। ৪৫ বছরের বেশি বয়সী মহিলা এবং গর্ভবতী মহিলাদেরও শুধুমাত্র এই আসনগুলিতে স্থান দেওয়া হয়। সাধারণ মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনের তুলনায় রাজধানী, দুরন্ত এবং ফুল এসি ট্রেনে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বেশি আসন রয়েছে।
এছাড়াও মুম্বাই লোকাল ট্রেনে প্রবীণ নাগরিকদের জন্যও কিছু আসন রাখা হয়েছে। এতে প্রবীণ মহিলা নাগরিকদেরও স্থান দেওয়া হয়েছে। সুবিধার কথা বললে, বড় স্টেশনগুলিতে প্রবীণ নাগরিকদের হুইল চেয়ার দেওয়া হয়।