আমরা বিভিন্ন জায়গায় বহু টাকা লগ্নি করে নষ্ট করি। কিন্তু আমরা সঠিক জায়গায় অনেক সময় ইনভেস্ট করতে পারি না। না জানার কারণে টাকা ডুবে যায়। তা সে শেয়ার মার্কেটে নিয়ে হোক কিংবা চাষের ক্ষেত্রে সঠিক ফসলের উপর লগ্নি করা এবং সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করলে প্রচুর টাকা মুনাফা আসতে পারে, তা আমরা অনেকেই জানি না। প্রথাগত চাষাবাদের বাইরে যদি একটু অন্যরকম চাষের দিকে ঝোঁকা যায় তাহলে কিন্তু সামান্য পয়সা লগ্নি করে জীবন বদলে দেওয়া যেতে পারে।
খরচ বা লগ্নি মাত্র ৩০ হাজার টাকা, আয় ৭০ লাখ বা বেশি।
এমনই একটি চাষের কথা বলব যেখানে মাত্র খরচ ৩০ হাজার এই টাকাতেই আপনি প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তিরিশের জায়গায় বেশি লগ্নি নিয়ে এবং বেশি জমি থাকলে আপনি অনায়াসে কোটি টাকায় খেলবেন।
লগ্নি করুন ইউক্যালিপটাস গাছে
যদি আপনি চাষ করতে পারেন ইউক্যালিপটাস, তাহলে আপনি হয়ে যাবেন মালামাল। কয়েক বছরের মধ্যে কোটিপতি হয়ে যাওয়ার কেউ রুখতে পারবে না। ইউক্যালিপটাস চাষের জন্য তেমন কোনও নির্দিষ্ট জলবায়ু প্রয়োজন নেই। সব আবহাওয়াতে ইউক্যালিপটাস হয়। মরুভূমি ছাড়া ঝড় বৃষ্টি ঠান্ডা গরম খুব একটা ইউক্যালিপটাসের স্বাস্থ্যে হানি ঘটাতে পারে না। এই কারণে এর জলসেচ কিংবা অন্যান্য আনুষঙ্গিক খুব একটা দরকার হয় না।
গাছ লাগাতে পারেন বছরের যে কোনও সময়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এক হেক্টর ক্ষেত্রে ইউক্যালিপটাস ৩ হাজার চারা লাগানো যেতে পারে। এই চারা নার্সারিতে খুব ভালো করেই সহজেই পাওয়া যায়। ৭ থেকে ৮ টাকা প্রতি ছাড়া যে কোনও নার্সারিতে আপনি পেয়ে যাবেন। অনুমান করা হচ্ছে যে, চাষ করে ২১ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ আছে। এতে ৭০ লাখ টাকা মুনাফা হাসিল হতে পারে। কৃষকদের জন্য এই ফায়দা রয়েছে।
৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফা
ইউক্যালিপটাসের কাঠ বিভিন্ন প্যাকিং বাক্স, জ্বালানি, হার্ডবোর্ড, ফার্নিচার এবং পার্টিক্যাল বোর্ড ইত্যাদি বানানোর জন্য করা হয়। এটির গাছ ৫ বছরে সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হয়ে যায় এবং তা বিক্রির যোগ্য হয়ে যায় ।এরপর এটি কাটা সম্ভব। জানিয়ে দেওয়া যাক এই গাছ থেকে প্রায় ৪০০ কেজি কাঠ পাওয়া যায়। বাজারে ইউক্যালিপটাস গাছ থেকে ৭ টাকা প্রতি কিলো পাওয়া যায় এতে যদি আপনি এখন এক হেক্টরে ৩ হাজার গাছ লাগান। তাহলে আপনি সহদেব ৭২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।