পশ্চিমবঙ্গে বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত একজন। শুধু আমাদের রাজ্য নয়, দেশে আরও একজনের শরীরে বার্ড ফ্লু-র ভাইরাস মিলেছে। আমেরিকা-সহ পৃথিবীর নানা দেশ এখন এই সমস্যায় ভুগছে। বার্ড ফ্লু হলেই অনেকে চিকেন-ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেন। এই সময় আদৌ চিকেন ও ডিম খাওয়া উচিত কি না তা নিয়ে মানুষের মনে সংশয় থাকে। আসুন জেনে নিই এই সময় চিকেন ও ডিম খাওয়া নিরাপদ কি না। খেলেও কীভাবে খাওয়া উচিত?
এই প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমাল হেলথ এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন আগেই জানিয়েছে, সঠিকভাবে রান্না করা মাংস ও ডিম খাওয়া নিরাপদ। তাহলে কোনও সমস্যা হয় না। তবে ডিম বা মুরগি যেন ভালোভাবে সেদ্ধ হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কোনওভাবেই কাঁচাভাব যেন না থাকে। যদি কাঁচাভাব থেকে যায় তাহলে কিন্তু সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যায়।
চিকেন খাওয়ার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম মানতে হবে? চিকিৎসরা জানাচ্ছেন, মুরগির মাংস ১৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে। এভাবে ফোটালে মাংসে কোনও ভাইরাস থাকলে তা মরে যাবে। সংক্রমণের কোনও আশঙ্কা থাকবে না। চিকিৎসকদের আরও পরামর্শ, কাঁচা মাংস ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ধোওয়ার পর হাত ঠিকভাবে ধোওয়া দরকার।সেই হাত কোনওভাবে হাতে বা মুখে দেওয়া যাবে না। তাহলে বিপদ বাড়তে পারে। সেই কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে যদি কোনও বাসন আসে তাহলে সেগুলোকেও ধুয়ে নিতে হবে। মাংসের কোনও অংশই যেন কাঁচা না থাকে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
চিকিৎসকদের মতে, হাঁস বা মুরগির ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। ডিম বাড়িতে আনার সঙ্গে সঙ্গে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। হাত স্যনিটাইজ করে নেওয়া প্রয়োজন। কোনও কোনও ডিমের গায়ে নোংরা লেগে থাকে। সেই নোংরা থেকে সাবধান থাকতে গরম জলে ডুম ভালো করে ধুয়ে নিন। ডিমের সংস্পর্শে কোনও বাসন ইত্যাদি এলে সেগুলোকেও পরিষ্কার করুন। মাংস যেভাবে সেদ্ধ করছেন সেভাবে ডিমও সেদ্ধ করুন। হাফ বয়েল বা কাচা ডিম এই সময় ভুলেও খাবেন না।
বার্ড ফ্লু-র লক্ষণ
বার্ড ফ্লুর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ডায়রিয়া এবং বমি। এর পাশাপাশি জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, শরীরে ব্যথা, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও হতে পারে। বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ বেশি হলে খুব জ্বর আসতে পারে। এমনকী নিউমোনিয়াও হতে পারে।