Advertisement

Kawasaki Versys-X 300: এক রাইডেই দার্জিলিং, সস্তায় World Class অ্যাডভেঞ্চার বাইক আনল কাওয়াসাকি

Kawasaki Versys-X 300: ইদানিং ভারতে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের চল বেড়েছে। আসলে তার কারণও আছে।এদেশে বেশিরভাগ রাস্তাই খুব একটা 'সুবিধে'র নয়। উঁচুনিচু রাস্তা, জল, কাদা মিলিয়ে একটা অফরোডিংয়ের মতোই ব্যাপার

কাওয়াসাকির এই বাইকই হতে পারে আপনার জাপানি ঘোড়া।কাওয়াসাকির এই বাইকই হতে পারে আপনার জাপানি ঘোড়া।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 Nov 2025,
  • अपडेटेड 1:25 PM IST
  • ইদানিং ভারতে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের চল বেড়েছে।
  • বাজারের কথা মাথায় রেখেই Versys-X 300 এর Updated Version আনল Kawasaki।
  • আজকাল অনেক মধ্যবিত্তই টাকা জমিয়ে একটু দামী, একটু প্রিমিয়াম সেগমেন্টের দিকে ঝুঁকছেন।

Kawasaki Versys-X 300: ইদানিং ভারতে অ্যাডভেঞ্চার বাইকের চল বেড়েছে। আসলে তার কারণও আছে।এদেশে বেশিরভাগ রাস্তাই খুব একটা 'সুবিধে'র নয়। উঁচুনিচু রাস্তা, জল, কাদা মিলিয়ে একটা অফরোডিংয়ের মতোই ব্যাপার। আলাদা করে আর অফরোড ট্র্যাকের দরকারের প্রয়োজন হয় না। ফলে অ্যাডভেঞ্চার বাইক Makes Sense। আর সেই বাজারের কথা মাথায় রেখেই Versys-X 300 এর Updated Version আনল Kawasaki। দামও মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই। শুরু হচ্ছে ৩.৪৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে। হ্যাঁ, আর ৫টা এন্ট্রি লেভেল অ্যাডভেঞ্চার বাইকের থেকে দাম বেশি। তবে যাঁরা সত্য়িই মাঝে মাঝে একটু ট্যুরিং করতে চান, একটু প্রিমিয়াম ফিল চান, তাঁদের জন্য এটা ভাল ইনভেস্টমেন্ট হতে পারে। তাছাড়া আজকাল অনেক মধ্যবিত্তই টাকা জমিয়ে একটু দামী, একটু প্রিমিয়াম সেগমেন্টের দিকে ঝুঁকছেন। ফলে সেই Bike Enthusiast দের জন্য এটি একেবারে Perfect Price Point বলা যেতে পারে।

নতুন ২০২৬ এর মডেলে তেমন বড় কোনও পরিবর্তন নেই। তবে আগের মতোই হালকা, মজবুত এবং মাল্টি পারপাস রেডি রাখা হয়েছে। রোজকার অফিস জার্নিই হোক বা উইকেন্ড ট্যুর, সব কিছুই সামলে দেবে এই একটি বাইক।

ইঞ্জিন ও পারফরম্যান্স
Versys-X 300 এ 296 cc লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন আছে। 40 হর্সপাওয়ার Power পাবেন। বেশ ভাল। টর্ক ২৬ নিউটন মিটার। আপহিল, বাজে রাস্তায় লো এন্ড পিক আপ বেশ ভালই পাবেন। সিক্স স্পিড গিয়ারবক্স পাবেন। সঙ্গে থাকছে অ্যাসিস্ট ও স্লিপার ক্লাচ। ফলে গিয়ার পাল্টানো আরও স্মুদ হবে। 

তবে হ্যাঁ, এই বাইকে হাইওয়েতে বিশাল স্পিড এক্সপেক্ট করবেন না। চালাতে Slow লাগবে এমনটাও নয়। শহরের রোজকার যাতায়াতে সেসব ফিলই হবে না।

বেশ কম্ফোর্টেবল রাইড
রাইডিং পশ্চার একদম সোজা, Straight। অনেকক্ষণ চালালেও হাত, পিঠ বা কাঁধে ব্যথা হয় না। ফলে যাঁরা ট্যুরিং করতে চাইছেন(পড়ুন পাহাড়ে রাইডে যেতে চাইছেন) তাঁদের জন্য মন্দ নয়। তাছাড়া ফুয়েল ট্যাঙ্কও বেশ বড়। ১৭ লিটার। ফলে একবার তেল ভরলেই অনেক দূর টানা চালাতে পারবেন। বারবার পেট্রোল পাম্প খুঁজতে হবে না।

Advertisement

সাসপেনশনও ভাল। আর তা হবে নাই বা কেন। অ্যাডভেঞ্চার বাইক বলে কথা। সামনে ৪১ মিমি টেলিস্কোপিক ফর্ক, পেছনে গ্যাস চার্জড মনোশক। ফলে খারাপ রাস্তা, পাথর বা উঁচু-নিচু পথেও সহজেই চালাতে পারবেন। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৮০ মিমি। মানে রাস্তা কেমন, তাই নিয়ে খুব একটা ভাবতে হবে না।|

চাকা ও ডিজাইন
সামনে ১৯ ইঞ্চির চাকা, পেছনে ১৭ ইঞ্চি। দুইটাই স্পোক হুইল। ফলে অনরোড ও অফরোড, দুই জায়গাতেই ভাল ব্যালেন্স। বড় সামনের চাকা পাথর বা গর্ত সহজে পেরিয়ে যাবে।

পেছনের সিটও ভাল। বড় হ্যান্ডল ও ক্যারিয়ার আছে। লাগেজ বাঁধার জন্য চারটি হুকও দেওয়া হয়েছে। কাওয়াসাকি আলাদা করে প্যানিয়ার, টপ বক্স ও ক্র্যাশ গার্ডও দিচ্ছে। ফলে বাইকটিকে ইচ্ছে মতো সাজানো যায়।

নতুন ফিচার ও রঙ
২০২৬ মডেলে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। শুধু নতুন গ্রাফিক্স ও রঙ পাবেন। এবার বাইকটি Candy Lime Green ও Metallic Flat Spark Black শেডে পাওয়া যাবে। আগের নীল সাদা রঙটি বাদ গিয়েছে।

তবে Note করার বিষয়টি হল, ২০২৫ এর শেষে এসেও এই বাইকে এখনও হ্যালোজেন হেডলাইট, অ্যানালগ-ডিজিটাল ক্লাস্টার আর ডুয়াল চ্যানেল ABS। TFT ডিসপ্লে বা কানেক্টিভিটি নেই। তবে সত্যি বলতে এর এই সারল্যই এর প্লাস পয়েন্ট। ইলেকট্রনিক ফিচার কম থাকায় ঝামেলা কম, সার্ভিস খরচও কম।

হিট কন্ট্রোল ও কমফোর্ট
ইঞ্জিনের পাশে বিশেষ ফ্যান শাউড দেওয়া হয়েছে। এতে ইঞ্জিনের গরম বাতাস চালকের পায়ে লাগে না। ফলে গরম আবহাওয়া বা ট্রাফিকে চলাও আরামদায়ক।

উঁচু উইন্ডস্ক্রিনের কারণে বাতাসের ধাক্কা কমে। ফলে দীর্ঘ রাস্তায় ক্লান্তি কম আসে। অনেকেই আজকাল এগুলো আফটার মার্কেট লাগান।

দাম
দাম ৩.৪৯ লক্ষ টাকা। নভেম্বর ২০২৫ থেকে ডেলিভারি শুরু হবে। যাঁরা এক বাইকেই অফিস, ট্যুর ও পাহাড়ে যেতে চান, তাঁদের জন্য এই বাইক একদম পারফেক্ট।

Read more!
Advertisement
Advertisement