
LIC Jeevan Anand Policy: ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি সাধারণ পরিবারের বাজেটকে চাপের মুখে ফেলেছে। এই সময়ে, কেবল অর্থ সঞ্চয় করা যথেষ্ট নয়, ভবিষ্যতে উল্লেখযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য রিটার্ন প্রদান করতে পারে এমন নিরাপদ বিকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ বিনিয়োগ, স্থিতিশীল রিটার্ন এবং দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষার ক্ষেত্রে, ভারতীয় জীবন বিমা কর্পোরেশন (LIC) প্ল্যানগুলিকে অগ্রণী বলে মনে করা হয়। এরকম একটি প্ল্যান হল LIC-এর জনপ্রিয় 'জীবন আনন্দ পলিসি', যা মানুষ কম প্রিমিয়ামে বড় ফান্ড তৈরি করার জন্য বেছে নিচ্ছে।
'জীবন আনন্দ নীতি'র বিশেষত্ব কী?
এই পলিসিটি একটি নন-লিঙ্কড এবং পার্টিসিপেটিং প্ল্যান, যার অর্থ এটি বাজারের ওঠানামা দ্বারা প্রভাবিত হয় না এবং বোনাসের অতিরিক্ত সুবিধার সঙ্গে আসে। ২০০২ সালে চালু হওয়া এই পলিসিটি তখন থেকেই বিনিয়োগ এবং সুরক্ষার কম্বিনেশনের কারণে অত্যন্ত জনপ্রিয়। পলিসিধারক পলিসির মেয়াদকালে আজীবনের সুরক্ষা পান, যখন মেয়াদপূর্তির পরে বোনাস সহ এককালীন অর্থ ফেরত দেওয়া হয়।
কারা এই পলিসি নিতে পারবে?
১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কেউ জীবন আনন্দ পলিসি কিনতে পারবেন। এর মেয়াদ ১৫ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত হতে পারে এবং সর্বোচ্চ মেয়াদপূর্তির বয়স ৭৫ বছর। যারা দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত বিনিয়োগ করে একটি বড় ফান্ড তৈরি করতে চান তাদের জন্য এটি উপযুক্ত।
প্রতিদিন মাত্র ৪৫ টাকা সাশ্রয় করুন এবং ২৫ লক্ষ টাকার ফান্ড তৈরি করুন
এই পলিসির জনপ্রিয়তার মূল কারণ হল এর কম প্রিমিয়াম। প্রতিদিন মাত্র ৪৫ টাকা সঞ্চয় করে, বিনিয়োগকারীরা তাদের পরিবারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফান্ড তৈরি করতে পারেন। মাসিক প্রিমিয়াম প্রায় ১,৩৫৮ টাকা। এই সামান্য পরিমাণ অর্থ সময়ের সঙ্গে প্রচুর সম্পদে পরিণত হতে পারে।
সম্পূর্ণ বিনিয়োগের হিসেবটা বুঝুন
যদি কোনও ব্যক্তি ৩৫ বছর ধরে প্রতি মাসে ১,৩৫৮ টাকা জমা করেন, তাহলে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হবে প্রায় ৫.৭০ লক্ষ টাকা। পলিসির মেয়াদ শেষে, জীবন আনন্দ পলিসিটি প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়, যার মধ্যে রয়েছে মূল বিমাকৃত অর্থ এবং আকর্ষণীয় বোনাস উভয়ই। এই সমন্বয় এটিকে একটি নিরাপদ এবং লাভজনক বিনিয়োগ বিকল্প করে তোলে।