Know Before Of Loan guarantor: বন্ধুবান্ধব হোক কিংবা আত্মীয়-স্বজন, আপনি কি কারও লোনের গ্যারান্টার হতে চলেছেন? তাহলে হওয়ার আগে খুব ভালো করে এই জিনিসগুলি জেনে নিন। নইলে হতে পারে যে,সেই বন্ধু বা আত্মীয়ের লোন আপনাকে চোকাতে হচ্ছে। না চোকালে বাড়িতে পৌঁছে যাবে পাওনাদার ব্যাংকের নোটিশ (Bank Notice)। হতে পারেন ডিফল্টারও (Defaulter)।
যখন ধারের প্রয়োজন হয়, আমরা সবার প্রথমে ব্যাংক এর কাছেই যাই। ব্যাংক চায় একজন গ্যারেন্টার। যদি আপনি কারও লোনের গ্যারেন্টার হতে পারেন তাহলে আপনাকেও অনেকগুলি কাগজপত্রে সই করতে হয়। গ্যারান্টার হওয়া শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা নয়, যদি লোন নেওয়া ব্যক্তি সময় মতো ধার না চুকিয়ে দেন, তাহলে আপনার বাড়িতে নোটিশ চলে আসতে পারে। তাই এই নিয়মগুলি অবশ্যই জানা উচিত।
গ্যারেন্টারের উপর বড় দায়িত্ব
ব্যাঙ্ক বা কোনও সংস্থা বেশিরভাগ বিনা গ্যারেন্টার লোন দেন না। লোনের ক্যালেন্ডারের ওপর বড় দায়িত্ব থাকে। যদি লোন গ্রাহক ব্যক্তি লোন ঠিকমতো না চুকিয়ে দেন, তাহলে আইনত গ্যারান্টারকে তা মিটিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে। YES ব্যাংকের গ্যারান্টার এর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে কোনও ব্যক্তি যখন অন্যের লোন চুকিয়ে দেওয়ার জন্য স্বীকৃত হন। তাকেই গ্যারান্টার বলে। গ্যারান্টার হওয়া কেবল লোন গ্রাহককে সাহায্য করার জন্য আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং লোন চুকিয়ে দেওয়ার জন্য গ্যারেন্টার সমান রূপে দায়ী। যদিও প্রত্যেক ব্যাঙ্ক গ্যারান্টার এর জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম রেখেছে।
গ্রাহক ও গ্যারেন্টার দুজনেই সমান অংশীদার
নিয়ম অনুসারে কোনও লোনের গ্যারান্টি যিনি নেন, তিনি টাকা ভোগ করুন বা না করুন, তাঁকেও লোন চোকানাের জন্য সমান অংশীদার বলে মানা হবে। ডিফল্ট পরিস্থিতিতে প্রথমে লোন যিনি নিয়েছেন, তাঁকে নোটিশ পাঠানো হবে। যদি তিনি তাঁর জবাব না দেন, বা তাঁর পরেও টাকা পয়সা ঠিকমতো না চোকান, তাহলে এই নোটিশ গ্যারেন্টারের বাড়িতেও পৌঁছাবে। লোন গ্রাহকের কাছ থেকে যে কোনও প্রকারের লোন তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে তখন বিকল্প হিসেবে গ্যারেন্টারের কাছ থেকে সেই টাকা তোলার চেষ্টা করা হবে। যদি গ্যারেন্টারও টাকা দিতে না পারে, তাহলে গ্যারেন্টারকে ডিফল্টারের লিস্টে ফেলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ Palmistry: আপনার হাতের রেখায় 'H'? জানুন কবে হবেন বড়লোক
গ্যারেন্টার কেন প্রয়োজন?
যদিও ব্যাংক সমস্ত ধরণের লোন-এর উপর গ্যারেন্টার খোঁজে না। কিন্তু যখন তারা পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট পায় না, তখন ব্যাঙ্ক কোনও গ্যারান্টার চায়। যদি ব্যাঙ্কের ধারণা হয় যে ওই ব্যক্তি লোন নাও চোকাতে পারে, পারে তখন তারা বিকল্প হিসেবে একজন গ্যারান্টারকে খোঁজে। আবার অনেক সময় বড় অ্যামাউন্টের টাকা হলেও ব্যাংক গ্যারান্টার চায়। এ কারণে কোনও গ্যারান্টার হওয়ার আগে প্রথমে আপনি সমস্ত নিয়ম জেনে নিন। প্রতিটি ব্যাঙ্কের নিয়ম আলাদা।
গ্যারেন্টারও পড়তে পারেন সমস্যায়
লোন গ্যারান্টার হওয়ার সময় আমাদের ক্রেডিট স্কোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়ম অনুসারে আপনার ক্রেডিট স্কোর যাচাই করার হয়। যদি আপনি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে থাকেন, তাহলে তার ইএমআই এর পরিস্থিতি কী? যদি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তাহলে বিল সময় মত পেমেন্ট করছেন কি না, যদি লোন নেওয়া ব্যক্তি সেটি ঠিকমতো না চুকিয়ে থাকেন তাহলে আপনার ক্রেডিট স্কোরও খারাপ হয়ে যাবে। এরপর যখন আপনি কখনও লোন নিতে যাবেন তখন সমস্যায় পড়তে হতে পারেন।