Miazyaki Mango World Most Expensive: মাত্র একদিন আগেই বীরভূমের দুবরাজপুরে একটি আম গাছের আম নিলাম হয়েছে। যা নিলামে ওঠার পর ১ টি আমের দাম পৌঁছেছে ১০ হাজার ৫০০ টাকায়। ওই আমটি এক ব্যক্তি কিনেছেন। তিনি মসজিদ কমিটির সাহায্যার্থে ওই আমটি এত টাকা খরচ করে কিনেছেন বলে জানান। কিন্তু কী এমন আম? যার দাম এত টাকা? আমাদের দেশীয় কোনও প্রজাতির আমের দাম কত? সিজনে ৩০-৪০ টাকা কেজি থেকে ১০০ টাকা কেজি দাম ওঠে। অফ সিজনে আম কিনতে গেলে ২৫০ থেকে ৩০০-৪০০ টাকাও হাঁকেন কেউ কেউ। কিন্তু এই আম যেটি বীরভূমে হয়েছে তার দাম কত জানেন?
আরও পড়ুনঃ গরমে সুস্থ থাকতে এই নিশ্চিন্তে খান এই মাছগুলি, পেট-শরীর ভাল থাকবে
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ি থেকে কাছেই পাহাড় ঘেরা জঙ্গল, কম খরচে দুর্দান্ত লোকেশন
কত দাম এই আমের?
আন্তর্জাতিক বাজারে এই আমের দাম প্রতি কেজি হাজার-দুহাজার ভাবছেন? ভুল। এই আমের প্রতি কেজিতে দাম কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা। এমনকী আকারে ভাল হলে আড়াই লক্ষ টাকা কেজি দাম ওঠার কথাও শোনা গিয়েছে। চমকে যাওয়ার দরকার নেই। এই আম জাপানি বংশোদ্ভূত। নাম মিয়াজাকি বা সূর্যডিম। দেখতে অনেকটা হাঁস-মুরগির ডিমের মতো। দাম গাঢ় লাল বা বেগুনি। ভারতে এই আম হয় না। আমাদের দেশে যেমন গরমে আম ভাল হয়, এ আম তেমন নয়, আমের জন্য ঠান্ডা পরিবেশ লাগে। তবে কোথাও কোথাও কখনও আম ফলে। বাংলাদেশে কয়েকটি জায়গায় এই কৃত্রিম উপায়ে ফলানো হচ্ছে। বীরভূমেও লাগানোর পর কোনওভাবে এই আম ফলেছে।
মিয়াজাকি আম
জানা গিয়েছে, এই আমকে মিয়াজাকি বলা হয় কারণ এটি জাপানের মিয়াজাকি শহরের একটি ফল। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, যার গঠন অনন্য এবং এর রং গাঢ় লাল বা বেগুনি। এই আমের আকার বিশাল, অনেকটা ‘ডাইনোসরের ডিম’-এর মতো। এর বৈজ্ঞানিক নাম Taiyo-no-tomago, যা Eggs of Sunshine নামেও পরিচিত।
মিয়াজাকি জাতের আমের একেকটার ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম, যা বাজারে ২১,০০০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি মিয়াজাকি আমের দাম কেজিতে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আমেরিকা ও ইউরোপের মতো বড় বড় দেশে মিয়াজাকি আমের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় ভারতের বাজারে এই আমের চাহিদা বা বিক্রি তেমন নেই। ভারতে জন্মানো সত্ত্বেও মিয়াজাকি আম বিদেশেই রফতানি করা হয়। মিয়াজাকি আম রফতানির আগে সঠিকভাবে মান যাচাই ও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। একাধিক পরীক্ষার পরে এই আম রফতানি ছাড়পত্র পায়। প্রথমে আট বা নয়ের দশকের মধ্যে এই জাপানের মিয়াজাকি শহরেই জন্মাতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং বিশ্ববাজারে এর ক্রমবর্ধমান চাহিদার জেরে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং ভারতের কৃষকরাও এর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। তবে নাম মিয়াজাকিই রয়ে গিয়েছে.
এই আমের উপযুক্ত আবহাওয়া
মিয়াজাকি আম চাষের জন্য ভালো বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি প্রবল সূর্যালোক এবং উর্বর মাটির প্রয়োজন। এপ্রিল থেকে অগাস্ট মাসে এই ফল ধরে। মিয়াজাকি আমে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি বিটা-ক্যারোটিন এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো বিশেষ উপাদান রয়েছে। এতে মাত্র ১৫% সুগার রয়েছে, যে কারণে মিয়াজাকি আম ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের রোগীরাও খেতে পারেন।