Advertisement

Mutual Fund: অ্যাক্টিভ ফান্ড এবং প্যাসিভ ফান্ডের পার্থক্য কী? কোনটায় রিটার্ন বেশি?

Mutual Fund Rules: অ্যাক্টিভ ফান্ড এবং প্যাসিভ ফান্ড কী? জেনে নিন ঠিক কোন মিউচুয়াল ফান্ডে আপনার টাকা বিনিয়োগ করা উচিত?

অ্যাক্টিভ ও প্যাসিভ মিউচুয়াল ফান্ডের পার্থক্য কী?অ্যাক্টিভ ও প্যাসিভ মিউচুয়াল ফান্ডের পার্থক্য কী?
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 21 Sep 2024,
  • अपडेटेड 1:12 PM IST
  • শেয়ার বাজারে যে কেউ বিনিয়গ করতে পারেন।
  • শেয়ারের খুঁটিনাটি বুঝতে অনেক পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা ও বাজার পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা লাগে।
  • সেই কারণেই আম বিনিয়োগকারীর জন্য মিউচুয়াল ফান্ডই কিছুটা সহজ অপশন।

Mutual Fund Rules: শেয়ার বাজারে যে কেউ বিনিয়গ করতে পারেন। কিন্তু শেয়ারের খুঁটিনাটি বোঝা সহজ নয়। এর জন্য অনেক পড়াশোনা, অভিজ্ঞতা ও বাজার পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা লাগে। সেই কারণেই আম বিনিয়োগকারীর জন্য মিউচুয়াল ফান্ডই কিছুটা সহজ অপশন। সময়ের সঙ্গে মধ্যবিত্ত বাঙালিও FD, PF-এর বাইরে বেরিয়ে মিউচুয়াল ফান্ড করছেন। শুধু তাই নয়, আজকাল মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থ বিনিয়োগ করা, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা, শেয়ার কেনা এসব আগের থেকে অনেক সহজও হয়ে গিয়েছে। 

আপনি কি মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা বিনিয়োগ করেন?

অনেকে ইতিমধ্যেই মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে প্রথমবার বিনিয়োগ করবেন বলে ভাবছেন।

তবে অনেক অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীও মিউচুয়াল ফান্ডের খুঁটিনাটি সঠিক জানেন না।

অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ ফান্ড

ধরুন কোনও বিনিয়োগকারীকে প্রশ্ন করা হল, আপনি কোন ফান্ডে বিনিয়োগ করেন? অ্যাকটিভ, নাকি প্যাসিভ ফান্ড? এর উত্তর দিতে গিয়ে অনেকেই হিমসিম খাবেন। কারণ অনেকেই এর সম্পর্কে জানেন না। সমস্যা নেই, এই প্রতিবেদনেই পুরোটা জানতে পারবেন।

প্রকৃতপক্ষে, সাম্প্রতিক কয়েক  বছরগুলিতে মিউচুয়াল ফান্ডগুলি ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লোকেরা আরও ভাল রিটার্নের সন্ধানে মিউচুয়াল ফান্ডের পথ বেছে নিচ্ছে… মূলত মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের দুটি উপায় রয়েছে - সক্রিয় তহবিল এবং প্যাসিভ ফান্ড।

অ্যাকটিভ মিউচুয়াল ফান্ড:

অ্যাকটিভ মিউচুয়াল ফান্ডগুলি একজন পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত হয়, যিনি নিয়মিতভাবে বাজার বিশ্লেষণ করেন এবং লাভজনক স্টক, বন্ড বা অন্যান্য সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করেন। ফান্ড ম্যানেজারের উদ্দেশ্য থাকে বাজার থেকে বেশি রিটার্ন অর্জন করা।

মূল বৈশিষ্ট্য:

  1. ম্যানুয়াল মার্কেট অ্যানালাইসিস: ফান্ড ম্যানেজার বাজার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেন, কোন স্টক বা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করবেন।
  2. উচ্চ ফি: অধিক সক্রিয় পরিচালনার কারণে অ্যাকটিভ ফান্ডের ফি সাধারণত বেশি হয়, যাকে 'এক্সপেন্স রেশিও' বলে।
  3. বাজারকে হারানোর চেষ্টা: অ্যাকটিভ ফান্ডের লক্ষ্য থাকে নির্দিষ্ট মার্কেট ইন্ডেক্সের তুলনায় উচ্চ রিটার্ন প্রদান করা।

প্যাসিভ মিউচুয়াল ফান্ড:

প্যাসিভ মিউচুয়াল ফান্ড, বিশেষত ইনডেক্স ফান্ড, একটি নির্দিষ্ট মার্কেট ইন্ডেক্স যেমন S&P 500, NSE Nifty, ইত্যাদির সাথে মিল রেখে চলে। এখানে ম্যানুয়াল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনো প্রভাব নেই, বরং ফান্ড একটি নির্দিষ্ট ইন্ডেক্সের পারফরম্যান্স অনুযায়ী চলে।

মূল বৈশিষ্ট্য:

  1. মার্কেট ইন্ডেক্সের অনুগামী: প্যাসিভ ফান্ড বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওঠা-নামা করে এবং কোনও ফান্ড ম্যানেজারের সক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয় না।
  2. কম ফি: প্যাসিভ ফান্ডে ফি কম হয়, কারণ এখানে সক্রিয় ম্যানেজমেন্ট নেই।
  3. বাজারকে হারানোর চেষ্টা নেই: প্যাসিভ ফান্ড সরাসরি ইন্ডেক্স ফলো করে এবং বেশি রিটার্ন পাওয়ার লক্ষ্য থাকে না, বরং ইন্ডেক্সের মতোই রিটার্ন প্রদান করে।

অ্যাকটিভ বনাম প্যাসিভ ফান্ড: কোনটি বিনিয়োগের জন্য ভালো?

এখন প্রশ্ন হলো, কোন ফান্ডে বিনিয়োগ করা উচিত? এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে বিনিয়োগকারীর ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতা, সময়কাল এবং আর্থিক লক্ষ্যগুলির উপর।

Advertisement
  1. অ্যাকটিভ ফান্ডের ক্ষেত্রে: যদি আপনি একজন অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী হন এবং বাজারের ওঠানামা থেকে বেশি লাভ করতে চান, তাহলে অ্যাকটিভ ফান্ড একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। যদিও এখানে ফি বেশি এবং বাজারে ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, তবে একজন দক্ষ ফান্ড ম্যানেজার সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বেশি লাভের সম্ভাবনা থাকে।

  • প্যাসিভ ফান্ডের ক্ষেত্রে: যদি আপনি ঝুঁকি কমাতে চান এবং দীর্ঘ মেয়াদে নিশ্চিত, স্ট্যাবল রিটার্ন পেতে চান, তবে প্যাসিভ ফান্ড উপযুক্ত হতে পারে। কম ফি এবং বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রিটার্ন প্রদান করার কারণে প্যাসিভ ফান্ড দীর্ঘ মেয়াদে ভালো ফল দিতে পারে।

  • বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে:

    1. ফান্ডের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করুন: অ্যাকটিভ ফান্ডের ক্ষেত্রে, ফান্ড ম্যানেজারের পূর্ববর্তী পারফরম্যান্স এবং তার কৌশল দেখে নিন। প্যাসিভ ফান্ডের ক্ষেত্রে, ইন্ডেক্সের পারফরম্যান্স দীর্ঘ মেয়াদে কেমন তা মূল্যায়ন করুন।
    2. ফি ও খরচের দিকে নজর দিন: অধিকতর ফি আপনার মোট রিটার্ন কমিয়ে দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য ফি ও খরচ বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
    3. আপনার ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতা মূল্যায়ন করুন: আপনার আর্থিক লক্ষ্য ও সময়কাল অনুযায়ী ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক কিনা তা বিবেচনা করুন। অধিক রিটার্নের আশায় ঝুঁকি নিতে হলে অ্যাকটিভ ফান্ড বেছে নিতে পারেন, অন্যথায় প্যাসিভ ফান্ড ভালো বিকল্প হতে পারে।

    অ্যাকটিভ না প্যাসিভ ফান্ড -কোথায় বিনিয়োগ করবেন?

    অ্যাকটিভ এবং প্যাসিভ মিউচুয়াল ফান্ড উভয়ই বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত, তবে কোনটি আপনার জন্য ভালো, তা নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত বিনিয়োগ লক্ষ্য ও ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতার উপর। অ্যাকটিভ ফান্ড অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু অনেক বেশি রিটার্নের সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে প্যাসিভ ফান্ডের ঝুঁকি কম। এটি দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল রিটার্ন দিতে পারে। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নিজের প্ল্যানের উপর ভিত্তি করেই বিনিয়োগ করা শ্রেয়।

    দ্রষ্টব্য: শেয়ার, বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি বাজার পর্যবেক্ষণ মাত্র। এগুলি বিনিয়োগের পরামর্শ নয়। বাজারে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই পড়াশোনা করুন এবং বিশেষজ্ঞের সাহায্য গ্রহণ করুন।

    Read more!
    Advertisement
    Advertisement