দ্রুতগামী ও বিলাসবহুল যাত্রার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল নমো ভারত র্যাপিড রেলের মাধ্যমে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির নিউ অশোক নগর স্টেশন থেকে সাহিবাবাদ পর্যন্ত নমো ভারত রেলের নতুন করিডোর উদ্বোধন করেছেন। এই করিডোর চালু হওয়ার ফলে দিল্লি থেকে মেরঠ পর্যন্ত যাত্রা আগের তুলনায় অনেক সহজ ও দ্রুততর হয়ে উঠবে। প্রায় ৪২ কিলোমিটার এই পথ এখন মাত্র ৪০ মিনিটে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
দ্রুতগামী রেলের বিশেষত্ব
নমো ভারত র্যাপিড রেল যাত্রার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সুবিধা যুক্ত করেছে। এই প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্গত, যার লক্ষ্য মানুষের যাত্রা নিরাপদ ও আরামদায়ক করে তোলা।
নমো ভারত ট্রেনের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:
বিশেষ আসন সংরক্ষণ: নারী, প্রবীণ এবং অক্ষম যাত্রীদের জন্য আলাদা আসনের ব্যবস্থা।
জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তা: প্রতিটি কোচে প্যানিক বোতাম ও জরুরি সেবা।
বিনামূল্যে সুবিধা: যাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে পানি, পরিষ্কার টয়লেট, এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য স্পর্শকাতর র্যাম্প।
সিসিটিভি নিরাপত্তা: স্টেশন ও ট্রেনের প্রতিটি কোচে নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি।
হুইলচেয়ার সুবিধা: হুইলচেয়ার ও স্ট্রেচারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা।
পরিচারক ব্যবস্থা: যাত্রীদের সাহায্যের জন্য প্রতিটি ট্রেনে একজন পরিচারক উপস্থিত থাকবেন।
স্টেশন তালিকা
নমো ভারত র্যাপিড রেল দিল্লি থেকে মেরঠ পর্যন্ত মোট ১১টি স্টেশনের মধ্যে দিয়ে যাত্রীদের সেবা দেবে। এই স্টেশনগুলো হল:
নিউ অশোক নগর
আনন্দ বিহার
সাহিবাবাদ
গাজিয়াবাদ
গুলধর
দুহাই
দুহাই ডিপো
মুরাদ নগর
মোদীনগর দক্ষিণ
মোদীনগর উত্তর
মেরঠ দক্ষিণ
ভাড়া ও সময়সূচি
নমো ভারত র্যাপিড রেলে যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের ভাড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ কোচে দিল্লি থেকে মেরঠ দক্ষিণ পর্যন্ত ভাড়া ₹১৫০ এবং প্রিমিয়াম কোচে ₹২২৫। ট্রেনগুলি প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর চলবে, যা যাত্রীদের জন্য এক সুবিধাজনক যাত্রার অভিজ্ঞতা এনে দেবে।
ভূগর্ভস্থ রুট ও নতুন সংযোগ
এই প্রথমবারের মতো নমো ভারত র্যাপিড রেল একটি ভূগর্ভস্থ রুটে চালু হয়েছে, যা নিউ অশোক নগর ও সাহিবাবাদের মধ্যে রয়েছে। এই নতুন সংযোগের মাধ্যমে দিল্লি-মেরঠ যাত্রীদের যাত্রা আরও গতিময় ও সহজ হবে।
যাত্রার অভিজ্ঞতা
নমো ভারত র্যাপিড রেল প্রকল্প শুধুমাত্র দ্রুত গতির এক পরিবহন ব্যবস্থা নয়, এটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিলাসবহুল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও নিরাপত্তার দিক থেকে এই রেল অন্যান্য প্রচলিত ট্রেনগুলোর চেয়ে আলাদা।