
Gratuity Rules: নতুন শ্রম আইন ২০২৫ থেকে গ্র্যাচুইটির নিয়মে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। এতদিন পাঁচ বছরের ধারাবাহিক চাকরি না থাকলে গ্র্যাচুইটি পাওয়া যেত না। এবার সেই বাধা ভাঙছে। নতুন নিয়ম বলছে, ফিক্সড টার্ম কর্মীরাও মাত্র এক বছরের চাকরির পর থেকেই গ্র্যাচুইটির সুবিধা পাবেন।
গ্র্যাচুইটি হিসেব করার পদ্ধতিও আগের মতোই থাকবে। এর ফর্মুলা অনুযায়ী, শেষ পাওয়া বেতনকে ১৫ দিয়ে গুণ করে ২৬ দিয়ে ভাগ করতে হবে। এখানে শেষ বেতন বলতে বেসিক স্যালারি এবং মহার্ঘ ভাতা দুটোই ধরা হবে। হিসেবের জন্য ২৬ দিনকে কাজের দিন হিসেবে ধরা হয়।
নোটিশ পিরিয়ডকেও ধারাবাহিক চাকরির অংশ হিসেবে গণনা করা হবে। ফলে কেউ যদি চাকরি ছাড়ার আগে নোটিস পিরিয়ডে থাকেন, সেই সময়ও গ্র্যাচুইটির অঙ্কে যুক্ত হবে। বর্তমানে গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ সীমা ২০ লক্ষ টাকা হলেও আগামী দিনে তা ২৫ লক্ষে তোলার চিন্তাভাবনা চলছে।
যে সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংখ্যা ১০ বা তার বেশি, তারা গ্র্যাচুইটি আইনের আওতায় পড়ে। ফলে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হলে অনেক কর্মীই দ্রুত সুবিধা পাবেন। বিশেষ করে ফিক্সড টার্ম বা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য এটি বড় স্বস্তির খবর।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, কারও শেষ পাওয়া বেসিক বেতন ২৫ হাজার টাকা এবং চাকরির মেয়াদ এক বছর হলে তাঁর গ্র্যাচুইটি দাঁড়ায় ১৪,৪২৩ টাকা। একই নিয়মে দুই, তিন বা চার বছরের চাকরির ক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটি হবে যথাক্রমে ২৮,৮৪৬ টাকা, ৪৩,২৬৯ টাকা এবং ৫৭,৬৯২ টাকা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নতুন শ্রম কোড কার্যকর হওয়ার পর সংস্থাগুলিকে ৪৫ দিন সময় দেওয়া হবে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য। ফলে আগামী বছর থেকেই এই নতুন সুবিধা চালু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, নতুন শ্রম আইন কর্মীদের, বিশেষত স্বল্পমেয়াদি নিয়োগপ্রাপ্তদের, জন্য আর্থিক সুরক্ষার সুযোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং গ্র্যাচুইটি হিসেবকেও আরও স্বচ্ছ ও সহজ করছে।