এখন একাধিক পার্সোনার লোন পাওয়া আরও কঠিন হতে চলেছে। আরবিআই একটি নতুন নিয়ম কার্যকর করেছে, যার কারণে ঋণ নেওয়া এবং দেওয়া উভয় ক্ষেত্রেই বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। এই নিয়ম অনুসারে, এখন ১ মাসের পরিবর্তে ১৫ দিনের মধ্যে ক্রেডিট ব্যুরোতে লোনের তথ্য আপডেট করতে হবে। এর ফলে দ্রুত ডিফল্ট এবং পেমেন্ট রেকর্ড সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাবে ব্যাঙ্কগুলি। এই নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পরে লোন নেওয়া ব্যক্তি সম্পর্কে ঝুঁকির বিষয়টি আরও ভালভাবে মূল্যায়ন করতে পারা যাবে। যারা একাধিক লোন নিয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
একাধিক লোন নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা
২০২৪ সালের অগাস্টে জারি করা এই নির্দেশাবলী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মনে করছে যে এটি ঋণদাতাদের অর্থাৎ ব্যাঙ্ক-সহ অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন EMI পরিশোধের তারিখের কারণে মাসে একবার রিপোর্ট করার ফলে পেমেন্ট রেকর্ড আপডেট হতে ৪০ দিন দেরি হয়। কিন্তু এখন প্রতি ১৫ দিনে তথ্য আপডেট হবে এবং ঋণদাতারা রিয়েল-টাইম তথ্য পাবেন। সামগ্রিকভাবে, এখন ইএমআই রিপোর্টিংয়ে দেরি কম হবে এবং পেমেন্ট ডিফল্ট সম্পর্কে সঠিক তথ্য দ্রুত পাওয়া যাবে।
একাধিক ঋণ নেওয়ার অভ্যাস রোধ করুন!
একাধিক ঋণ নেওয়ার অভ্যাসও রোধ করবে এই নিয়ম। নতুন ঋণ গ্রহণকারীরা অনেক জায়গা থেকে ঋণ পান, যা তাঁদের পরিশোধের ক্ষমতার চেয়ে বেশি। ব্যাঙ্কগুলি নিজেরাই আরও ঘন ঘন রেকর্ড আপডেট করার পরামর্শ দিয়েছিল, যাতে ঋণগ্রহীতাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়। এখন যদি একজন ব্যক্তি একাধিক লোন নেন এবং তাঁর EMI বিভিন্ন তারিখে থাকে, তাহলে তাঁর আর্থিক কার্যক্রম ১৫ দিনের মধ্যে ক্রেডিট ব্যুরো সিস্টেমে পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে ঋণদাতারা ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক ও সর্বশেষ তথ্য পাবেন।
নিষিদ্ধ হবে ‘এভারগ্রিনিং’
এই পরিবর্তন 'এভারগ্রিনিং'-এর মতো কার্যক্রমও বন্ধ করে দেবে। এতে পুরনো ঋণ শোধ করতে না পারলেও ঋণগ্রহীতারা নতুন ঋণ নেন, যার কারণে তাঁদের আসল অবস্থা গোপন থাকে। রিপোর্টিং সময় কমানো ক্রেডিট ব্যুরো এবং ঋণদাতাদের আরও নির্ভরযোগ্য তথ্য দেবে এবং ঋণ দেওয়া-নেওয়ার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।