পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য বড় সুখবর। তিন মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল। আর জঙ্গল খুলতেই ফের অনলাইনে মিলবে গরুমারা ও জলদাপাড়ার হাতি সাফারির টিকিট।
এ বছর জানুয়ারিতে আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, জঙ্গলে প্রবেশের জন্য আর কোনও ফি নেওয়া যাবে না। সেই সিদ্ধান্তে পর্যটকদের জঙ্গলে ঢোকার টিকিট তো বন্ধ হয়ই, সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় অনলাইনে হাতি সাফারির টিকিট বুকিং-ও।
তবে এত দিন অনলাইনে টিকিট না মেলায় ভিড়ের দিনে অনেক পর্যটককেই পড়তে হচ্ছিল ভোগান্তিতে। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনেও দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট মিলছিল না। পর্যটন মহলের তরফে বহুবার বন দপ্তর ও পর্যটন দফতরের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, যেন আবার অনলাইনে টিকিট চালু হয়।
শেষমেশ সেই দাবি মানল বন দফতর। উত্তরবঙ্গের বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভাস্কর জেভি জানিয়েছেন, ‘‘অনলাইনে হাতি সাফারির টিকিট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনেই টিকিট পাবেন পর্যটকরা।’’
গরুমারায় দিনে তিনবার দুটি হাতিতে ৪ জন করে মোট ১২ জন এবং জলদাপাড়ায় দিনে তিনবার পাঁচটি হাতিতে ২০ জন করে মোট ৬০ জন পর্যটক হাতি সাফারির সুযোগ পান। এই টিকিটের চাহিদা বরাবরই তুঙ্গে। একেকজন পর্যটককে সাফারির জন্য গুনতে হয় ১,২০০ টাকা।
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘অনলাইনে বুকিং বন্ধ থাকায় বহু পর্যটককে টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। এবার সুবিধা হবে।’’ লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেবের দাবি, ‘‘অনলাইনে বুকিং চালুর পাশাপাশি যেন আরও কিছু অতিরিক্ত টিকিটও দেওয়া হয়, সেটাও ভাবা দরকার।’’
জঙ্গল খোলার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটনের মরশুমও জমে উঠবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা। আর অনলাইনে টিকিট চালু হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি পাবেন পর্যটকরা।