পোস্ট অফিসের MIS প্রকল্পে ঘরে বসে প্রতি মাসে নিশ্চিত আয় করতে পারেন। তরুণ বা বৃদ্ধ যাই হোন না কেন, এই প্রকল্পটি খুবই কার্যকর। এতে একবারই টাকা জমা করতে হবে। তারপর ৫ বছরের জন্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সুদ পাবেন। এই স্কিমের সবচেয়ে ভালো দিক হল টাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ, কারণ এটি একটি সরকারি স্কিম।
এই স্কিম শুরু করতে নিকটতম পোস্ট অফিসে যান। আধার কার্ড এবং সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। সঙ্গে প্যান, আধার কার্ডের মতো প্রয়োজনীয় নথিপত্র লাগবে।
বাজারের উত্থান-পতন এতে প্রভাব ফেলে না। যদি নিজের এবং স্ত্রীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন, তাহলে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
জয়েন্ট ও সিঙ্গেল অ্যাকাউন্টের সুবিধা
এই স্কিমে সিঙ্গেল বা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। সিঙ্গেল অ্যাকাউন্টে সর্বাধিক ৯ লক্ষ টাকা জমা করতে পারবেন। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন। ৭.৪% বার্ষিক সুদ পাওয়া যাচ্ছে।
যদি জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা জমা করেন, তাহলে প্রতি মাসে ৬,১৬৭ টাকা বা বছরে ৭৪,০০৪ টাকা আয় করবেন। এই টাকা প্রতি মাসে পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টে আসতে থাকবে। অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা জমা করতে হবে। তারপরে ১,০০০ এর গুণিতকে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
মাসিক খরচের ব্যবস্থা
এই স্কিমটি বিশেষ করে অবসর গ্রহণের পরে যারা আছেন তাদের জন্য ভালো। যদি নিয়মিত আয়ের কোনও উৎস না থাকে, তাহলে POMIS আপনার মাসিক খরচের ব্যবস্থা করতে পারে। আবার মাসে মাসে বাজার-হাত খরচা চাইলেও এই স্কিম করলে পকেট খালি হলেও আসবে টাকা। এটি সন্তানদের নামেও খুলতে পারেন।
যদি শিশুর বয়স ১০ বছরের কম হয়, তাহলে বাবা-মা বা অভিভাবকরা তাদের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। ১০ বছর বয়সের পরে, শিশু নিজেই অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করতে পারে। এই স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর, যদি চান, তাহলে এটি আরও ৫-৫ বছরের জন্য বাড়িয়ে দিতে পারেন।
ম্যাচিউরিটির আগে টাকা তোলা যাবে
যদি এর মধ্যে টাকা তুলতে চান, তাহলে এটিও সম্ভব, তবে এর জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। অ্যাকাউন্ট খোলার ১ বছর পর যদি টাকা তুলতে চান, তাহলে ২% কেটে নেওয়া হবে। ৩ বছর পর মেয়াদপূর্তির আগে টাকা তুলতে চাইলে ১% কেটে নেওয়া হবে। যারা কোনও ঝুঁকি ছাড়াই একটি নির্দিষ্ট আয় চান তাদের জন্য এই স্কিমটি দুর্দান্ত। স্ত্রী যদি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন, তাহলে আরও বিনিয়োগ করার এবং আরও বেশি উপার্জনের সুযোগ পাবেন।