পোস্ট অফিসের বেশ কিছু স্কিম আছে। এই স্কিম নিশ্চিত আয় দেয়। এর অর্থ হল বিনিয়োগের উপর নিশ্চিত সুদ পাবেন। এমন একটি স্কিমের মাধ্যমে চাকরির পাশাপাশি অতিরিক্ত আয় করতে পারবেন।
পোস্ট অফিসের বেশ কিছু চমৎকার স্কিম রয়েছে। এই স্কিমগুলিতে মাত্র ৫০০ বা ১০০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। বিশেষ বিষয় হলো, মিউচুয়াল ফান্ড থেকে কম রিটার্ন পেলেও এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।
এই কারণেই আজও মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে পোস্ট অফিস স্কিম বেছে নেয়। এই স্কিম অতিরিক্ত আয় করতে সাহায্য করবে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
এই স্কিমে যে কেউ আবেদন করতে পারবেন, অথবা দু'জন ব্যক্তি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হিসেবে একসঙ্গে আবেদন করতে পারবেন। বাবা-মায়েরাও তাদের সন্তানের নামে আবেদন করতে পারবেন।
মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির যত্ন নেওয়া বাবা-মা বা পরিবারের সদস্যরা তাদের সন্তানের পক্ষে আবেদন করতে পারবেন।
কত টাকা জমা করতে হবে?
এই স্কিমে অর্থ বিনিয়োগের পরিমাণ ১,০০০ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
তবে, কেউ যদি একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলে, তাহলে তারা সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবেন।
কত সুদ পাবেন?
বর্তমানে, এই স্কিমে ৭.৪% সুদের হার পাওয়া যাচ্ছে। এর মানে হল প্রতি মাসে ৬২ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
মাসে কীভাবে আয় করেন?
পোস্ট অফিসের MIS স্কিম: নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই স্কিমের আওতায় প্রতি মাসে অ্যাকাউন্টে রিটার্ন জমা হয়। এই স্কিমের অধীনে যত বেশি টাকা জমা করবেন, তত বেশি রিটার্ন বা আয় পাবেন।
৭.৪% রিটার্নে প্রতি মাসে ৬২ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
৫,০০০ টাকা কীভাবে আয় করবেন?
হিসাব
বিনিয়োগের পরিমাণ - ৯ লক্ষ টাকা
রিটার্ন - ৭.৪%
মেয়াদ - ৫ বছর
যদি পোস্ট অফিস মাসিক স্কিমে এককালীন ৯ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ৭.৪% হারে প্রতি মাসে ৫,৫৫০ টাকা আয় করতে পারবেন। এই আয় ৫ বছর পর্যন্ত অর্জন করা যেতে পারে।
মেয়াদপূর্তির আগে এটি বন্ধ করতে পারেন?
পোস্ট অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, এক বছরের আগে এই স্কিম থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। যদি কেউ তিন বছরের আগে টাকা তুলে নেন, তাহলে জমা করা টাকা থেকে ২% কেটে নেওয়া হবে।
একইভাবে, ৩ বছর পর, যদি মেয়াদপূর্তির আগে টাকা তোলা হয়, তাহলে জম করা টাকা থেকে ১ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে।