টাকা শুধু রোজগার করলেই হয় না। তা কীভাবে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে হবে, সেটাও জানা জরুরি। অনেকেই নানা প্রকল্পে বিনিয়োগ করে। যাতে ভবিষ্যতে আর্থিক ভিতটা মজবুত হয়। বিনিয়োগের তেমনই একটা মাধ্যম হল পোস্ট অফিস স্কিম। এটি এমন একটি স্কিম, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা মাসে মাসে মোটা টাকা পাবেন। এই দীপাবলিতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা শুরু করলে দারুণ লাভ করবেন।
৭.৪ শতাংশ হারে সুদ
পোস্ট অফিসের স্কিমে ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। সরকার এই প্রকল্পে ৭.৪ শতাংশ সুদ দেয়। এই স্কিমটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে আপনার আয়ের চিন্তা দূর হবে। এই সরকারি স্কিমের মেয়াদপূর্তির সময়কাল ৫ বছর। অ্যাকাউন্ট খোলার ১ বছর পর পর্যন্ত টাকা তোলা যাবে না। এতে
মাত্র ১ হাজার টাকা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।
৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ
পোস্ট অফিস মাসিক সেভিং স্কিম বা POMIS-এর অধীনে বিনিয়োগকারী অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের জন্য ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যাবে৷ জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এর সর্বোচ্চ সীমা ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে, এই স্কিমের অধীনে প্রতি মাসে নিজের জন্য গ্যারান্টিযুক্ত আয়ের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
মাসিক আয়ের হিসাব
পোস্ট অফিসের এই স্কিমে, এক মাস বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে আয় সুনিশ্চিত করা হয়। যদি ৫বছরের জন্য এই স্কিমে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ৭.৪ শতাংশ সুদের হার অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৩ হাজার ৮৪ টাকা আয় করবেন। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টধারীর সর্বোচ্চ সীমা অর্থাৎ ৯ লক্ষ টাকা হলে, সেক্ষেত্রে মাসিক আয় হবে ৫ হাজার ৫৫০ টাকা।
এই প্রকল্পের সুবিধা লাভের জন্য নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে যেতে পারেন। প্রয়োজনীয় নথি-সহ পোস্ট অফিসে আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীরা পোস্ট অফিস থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম সংগ্রহ করতে পারেন এবং KYC ফর্ম,প্যান কার্ড-সহ জমা দিতে পারেন৷ জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও KYC নথি জমা দিতে হবে।