যদি অবসরকালীন সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে চান, পোস্ট অফিসের এই বিনিয়োগটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। ভালো রিটার্ন পেতে চাইলে পোস্ট অফিস সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম কার্যকর হতে পারে। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর যদি নিয়মিত আয়ের কোনও উৎস না থাকে, তাহলে এমন একটি প্রকল্প খুঁজুন যা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট আয় দিতে পারে।
কারা এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন?
এই সরকারি স্কিমটি বিশেষভাবে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য তৈরি। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিরা এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। যদি সরকারি কর্মচারীরা ৫৫ থেকে ৬০ বছর বয়সে ভিআরএস নেন, তাহলে তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। একই সাথে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র থেকে অবসর গ্রহণকারী ব্যক্তিরা (সেনা, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী) ৫০ বছর বয়স থেকে এই প্রকল্পে যোগ দিতে পারবেন।
সরকারি গ্যারান্টি এবং উচ্চ সুদের হার
পোস্ট অফিসে SCSS বর্তমানে ৮.২% বার্ষিক সুদ দিচ্ছে, যা বেশিরভাগ ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানত প্রকল্পের তুলনায় অনেক ভালো। সরকার কর্তৃক বিনিয়োগের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ গ্যারান্টি রয়েছে, তাই এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য। এই প্রকল্পে করা বিনিয়োগের উপর, আয়করের ধারা ৮০সি এর অধীনে দেড় লক্ষ পর্যন্ত ছাড় পাবেন। তবে, সুদের পরিমাণ করযোগ্য।
প্রতি মাসে ২০,০০০ টাকা পাবেন
যদি কোনও বিনিয়োগকারী এই স্কিমে এককালীন ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ৮.২% সুদের হারে তিনি বার্ষিক ২.৪৬ লক্ষ টাকা সুদ পাবেন। এর অর্থ হল প্রতি মাসে আয় হবে ২০,৫০০ টাকা। যা শুধুমাত্র সুদের আকারে। এর মানে হল অবসর গ্রহণের পরেও চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
এই স্কিমে সর্বনিম্ন বিনিয়োগ ১,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত (সিঙ্গেল বা জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট)। স্কিমের মেয়াদপূর্তির সময়কাল ৫ বছর, যা আরও ৩ বছর বাড়ানো যেতে পারে।