ভারতীয় রেলকে নিয়ে সারাদিনই হাজার হাজার ভিডিও শেয়ার হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ বার এগুলির মধ্যে কিছু থাকে ফেক। সেগুলি AI-এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। আর এই সব ভিডিয়োগুলি রিয়েল না ফেক, সেটা অনেকেই ধরতে পারেন না। তারা এই ভিডিওগুলিকে বিশ্বাস করে নেন। যার ফলে জানমানসে রেল নিয়ে একাধিক ভুল ধারণা তৈরি হয়। বাড়ে বিভ্রান্তি। তৈরি হয় প্যানিক। আর এই সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করল ভারতীয় রেল। এখন থেকে রেলকে নিয়ে কোনও ভুলভাল ভিডিও শেয়ার করলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
রবিবার দিল্লির আনন্দবিহার স্টেশন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। দীপাবলির সময় ভিড় সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি দেখতেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি গোটা স্টেশন ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলেন।উপস্থিত মানুষের থেকে স্টেশনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সুবিধা সম্পর্কে মতামত জানতে চান। এর পরই সাংবাদিকদের প্রেস নোট দেওয়া হয়।
কী জানান হয়?
দীপাবলি উপলক্ষে নিজেদের একবারে প্রস্তুত রেখেছে ভারতীয় রেল। তাদের পক্ষ থেকে ভিড় সামাল দিতে নেওয়া হয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। পাশাপাশি যাতে কোনও যাত্রী সমস্যায় না পড়েন, সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যাত্রীদের সুরক্ষাই যে প্রাধান্যের বিষয়, সেটা জোর গলায় বলা হয়েছে প্রেস নোটে।
ফেক ভিডিয়ো ছড়ালেই ব্যবস্থা
এই প্রেস নোটেই জানান হয়, যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ফেক ভিডিয়ো নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে রেল। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে কোনও ফেক ভিডিও শেয়ার না করারও অনুরোধ করা হয়েছে। তাই সাবধান হন। ফেক ভিডিয়ো ছড়ানো থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। চেষ্টা করুন ঘটনার সত্যতা জেনেই সেই ভিডিও শেয়ার করার। নইলে কড়া ব্যবস্থার মুখে পড়তে পারেন।
হঠাৎ কেন পরিদর্শন?
আসলে দীপাবলি ও ছট উৎসব উপলক্ষে একটা বড় অংশের মানুষ সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে ফিরছেন। তাই এমতা অবস্থায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে ভারতীয় রেল। সেই কারণে তাঁরা বিভিন্ন স্টেশনের পরিস্থিতি যাচাই করতে চাইছে। যার ফলে স্টেশনে ছুটে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রীও। তিনিও প্রস্তুতি যাচাই করে নিচ্ছেন।
কেন ফেক ভিডিও নিয়ে কড়াকড়ি?
আসলে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন ফেক ভিডিয়ো। সেখানে ছোট ঘটনাকেও অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। যার ফলে মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়। তার ফলে বিপদ আরও বাড়ছে। নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। তাই এখন থেকে আর রেল নিয়ে ফেক ভিডিও ছড়ানোর ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।