
EMI-তে সুদের হারে নতুন করে কোনও বোঝা বাড়ছে না। অপরিবর্তিত রইল রেপো রেট। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এমপিসি সভায় (RBI MPC Results) একথা জানানো হয়েছে।
আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা বলেছেন, এবার রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আগে টানা তিনটি বৈঠকে, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রেপো রেট হ্রাসের কথা ঘোষণা করেছে। বর্তমানে তা ৫.৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। এর থেকে স্পষ্ট যে ঋণের EMI-এর উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। এটি হ্রাস পাবে না বা বোঝাও আর নতুন করে বাড়বে না।
ভারতের অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে
এমপিসি সভার ফলাফল ঘোষণা করে আরবিআই গভর্নর বলেন, উৎসবের মরশুম অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। তবে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে শুল্ক নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতিতে ভারতে আরবিআই অর্থনীতির উন্নতির বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। যদিও ভারতের অর্থনীতি ইতিমধ্যে শক্তিশালী। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুল্ক সম্পর্কিত চিত্র সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি তাড়াহুড়ো করবে না।
ঋণের উপর রেপো রেটের কী প্রভাব?
এই রেপো রেট আসলে কী? এটি ঋণের EMI-কে কীভাবে সরাসরি প্রভাবিত করে? রেপো রেট হল, সুদের হার যার উপর আরবিআই দেশের সমস্ত ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয়। এর ওঠানামা সরাসরি ঋণ নেওয়া গ্রাহকদের উপর প্রভাব ফেলে। কারণ যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়, অর্থাৎ রেপো রেট কমায়, তখন ব্যাঙ্কগুলি সস্তা ঋণ পায়। তারা সুদের হার কমিয়ে হোম লোন, অটো লোন এবং ব্যক্তিগত ঋণ গ্রহণকারী গ্রাহকদের উপহারও দেয়।
জিডিপি সম্পর্কে আরবিআইয়ের অনুমান
রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্তের কথা বলার সময়, গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা ভারতের জিডিপি বাড়বে বলেও অনুমান করেছেন। ভারতীয় অর্থনীতির প্রতি আস্থা রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ২০২৬ অর্থনৈতিক বছরে ৬.৫% থাকতে পারে বলে অনুমান। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে, এটি প্রথম ত্রৈমাসিকে ৬.৫%, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৭%, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৬% এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬.৩% অনুমান করা হয়েছে। এছাড়াও, আগামী অর্থবছরে প্রকৃত জিডিপি বেড়ে ৬.৬% হবে বলে আশা করা হচ্ছে।