Retirement Planning: আজীবন মোটা টাকা পেনশন নিশ্চিত, ঠিক কখন কীভাবে রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান করবেন?

অবসর পরিকল্পনা কীভাবে করবেন
মুদ্রাস্ফীতি যেভাবে ধীরে ধীরে বাড়ছে, তাতে মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার টেনশনও বাড়ছে। আজকের সময়ে, মানুষ যৌবনে অথবা চাকরি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবসরের পরিকল্পনা শুরু করে। তাই অনেক সময় মানুষ বর্তমান খরচের পাশাপাশি রিটায়ারমেন্ট প্ল্যানিং কীভাবে করবেন তা বুঝতে পারে না।  তাই নিরাপদ অবসর জীবন নিশ্চিত করার জন্য, আপনাকে সময়ের সঙ্গে  বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। যদি আপনার বয়স এখন ৩০ বছর হয়, তাহলে অবিলম্বে পরিকল্পনা শুরু করুন, অন্যথায় আপনি অনুশোচনা করতে পারেন। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে আপনি আপনার বার্ধক্যকে পূর্ণ আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন এবং অবসর গ্রহণের পরেও আপনাকে অর্থের জন্য চিন্তা করতে হবে না, এর জন্য কেবল স্মার্ট পরিকল্পনা অনুসরণ করুন।

আগে থেকে পরিকল্পনা শুরু করুন
অবসর পরিকল্পনায় আমরা যে সবচেয়ে বড় ভুলটি করি তা হলো 'আমি আগামী বছর বিনিয়োগ শুরু করব' এই ভাবনা। মনে রাখবেন, যত তাড়াতাড়ি আপনি বিনিয়োগ শুরু করবেন, 'চক্রবৃদ্ধি সুদের' রকেট তত দ্রুত আপনার অর্থ বৃদ্ধি করবে এবং কেবল তখনই ভবিষ্যতের জন্য আপনার পকেটে প্রচুর অর্থ থাকবে।  

কোথায় বিনিয়োগ করবেন?
যদি আপনি নিজের  ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখতে চান, তাহলে প্রথমেই স্পষ্ট করে নিন কোথায় নিজের টাকা বিনিয়োগ করতে চান। হ্যাঁ, আজকের সময়ে বিভিন্ন বিনিয়োগের বিকল্প রয়েছে, যেমন EPF, NPS এবং মিউচুয়াল ফান্ড। ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদির ভিত্তিতে সেগুলো বেছে নিন।  

খরচের উপর নজর রাখুন
যখনই আপনি অবসর গ্রহণের পরিকল্পনা করবেন, তখন সর্বদা আপনার ব্যয়ের উপর নজর রাখুন। প্রথমে আপনার আজকের ব্যয় সঠিকভাবে পরিচালনা করুন এবং তারপরে ভবিষ্যতের জন্য যা অবশিষ্ট আছে তা সঞ্চয় করুন। যদি আপনার সঞ্চয় কম হয় এবং ব্যয় খুব বেশি হয়, তাহলে আগামী সময় ম্যানেজ করা কঠিন হবে।  

প্রতি মাসে কত সঞ্চয় প্রয়োজন?
নিরাপদ অবসর নিশ্চিত করার জন্য, আপনার সাধারণত প্রতি মাসে আপনার মোট আয়ের ১৫-২০% সঞ্চয় করার চেষ্টা করা উচিত, তবে সঠিক পরিমাণ আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতি এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।  

নিয়মিত পর্যালোচনা করুন
আপনার অবসর পরিকল্পনা নিয়মিত পর্যালোচনা করতে ভুলবেন না, বিশেষ করে যখন আপনার জীবনযাত্রায় বা আর্থিক পরিস্থিতিতে কোনও পরিবর্তন আসে। আপনার বিনিয়োগ আপনার লক্ষ্য অর্জনের পথে আছে কিনা তা বোঝার জন্য আপনার পরিকল্পনা ঠিকমতো বাস্তবায়িত করুন।