Advertisement

Flying Flea S6: এই Royal Enfield একবার কিনলে সারাজীবন তেলই ভরতে হবে না!

Flying Flea S6: রয়্যাল এনফিল্ড মানেই একটা ক্লাসিক ব্যাপার। বাইকের ফিচার্স ধীরে ধীরে মডার্ন হচ্ছে। কিন্তু বাইকের মেন DNA এখনও সেই আগের মতোই ধরে রেখেছে Royal Enfield। তবে এবার বেশ বড়সড় চমক দিল সংস্থা।

অফিসিয়ালি নতুন ইলেকট্রিক স্ক্র্যাম্বলার Flying Flea S6 (FF.S6) এর ফার্স্ট লুক দেখাল রয়্যাল এনফিল্ড।অফিসিয়ালি নতুন ইলেকট্রিক স্ক্র্যাম্বলার Flying Flea S6 (FF.S6) এর ফার্স্ট লুক দেখাল রয়্যাল এনফিল্ড।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 28 Nov 2025,
  • अपडेटेड 3:03 PM IST
  • বাইকের মেন DNA এখনও সেই আগের মতোই ধরে রেখেছে Royal Enfield।
  • ভারতের মাটিতে অফিসিয়ালি নতুন ইলেকট্রিক স্ক্র্যাম্বলার Flying Flea S6 (FF.S6) এর ফার্স্ট লুক দেখাল রয়্যাল এনফিল্ড।
  • বাইকের ইউনিক ডিজাইনের বিষয়েও জেনে নিন।

Flying Flea S6: রয়্যাল এনফিল্ড মানেই একটা ক্লাসিক ব্যাপার। বাইকের ফিচার্স ধীরে ধীরে মডার্ন হচ্ছে। কিন্তু বাইকের মেন DNA এখনও সেই আগের মতোই ধরে রেখেছে Royal Enfield। তবে এবার বেশ বড়সড় চমক দিল সংস্থা। মোটোভার্স 2025 এ ভারতের মাটিতে অফিসিয়ালি নতুন ইলেকট্রিক স্ক্র্যাম্বলার Flying Flea S6 (FF.S6) এর ফার্স্ট লুক দেখাল রয়্যাল এনফিল্ড। এর আগে বিদেশের ইভেন্ডে এই মডেল শোকেস করেছিল এনফিল্ড। তখনও পর্যন্ত আমজনতা ভাবছিলেন 'এটাও কোন নতুন কনসেপ্ট হবে'। কিন্তু এই বাইক আনার ব্যাপারে যে রয়্যাল এনফিল্ড সিরিয়াস, তা এতদিনে স্পষ্ট। শীঘ্রই ভারতের রাস্তায় এই ইলেকট্রিক এনফিল্ড নামতে পারে। কবে নাগাদ? তার আগে এই Flying Flea নামটা কেন জেনে নেওয়া যাক। সেই সঙ্গে এই বাইকের ইউনিক ডিজাইনের বিষয়েও জেনে নিন।

রয়্যাল এনফিল্ড মানেই ইতিহাস!
নামটি ইতিহাসের পাতা থেকে নেওয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাবাহিনী রয়্যাল এনফিল্ডের বাইক ব্যবহার করত। তবে সেই বাইক এখনকার বুলেট বা ক্লাসিকের মতো বড়, ভারী হত না। হালকা ওজন হত। যাতে খারাপ রাস্তায় সহজে চালানো যায়। পাশাপাশি কাদায় ফেঁসে গেলে এমন বাইক সহজে তুলে নেওয়া যেত। খারাপ হলে টেনে টেনে অনেকদূর নিয়েও যেতে পারতেন জওয়ানরা। 

এর পাশাপাশি হাল্কা হওয়ায় আরও একটি সুবিধা ছিল। দুর্গম স্থানে বিমান থেকে প্যারাস্যুট বেঁধে এই বাইক ফেলে দেওয়া হত। ভাসতে ভাসতে তা নেমে আসত। এরপর সেটা কালেক্ট করে চালাতে শুরু করতেন সেনা জওয়ানরা। এমনকি বাইক সহ সেনাদের ঝাঁপেরও নজির আছে।

এমন 'ওড়া'র ক্ষমতার কারণেই এই বাইকটিকে 'Flying Flea' বলা হত। 

সময়ের সঙ্গে এনফিল্ডের বাইক আরও ভারী হয়েছে। অনেক ডিজাইন পাল্টেছে। কিন্তু নতুন ইলেকট্রিক বাইক বানাতে গিয়ে ডিজাইনাররা দেখলেন, সেই ক্লাসিক ফ্লাইয়িং ফ্লি এর ডিজাইন ইভির জন্য আদর্শ। হালকা বাইক। খালি ইলেকট্রিকের জন্য অ্যাডাপ্ট করতে হবে। আর একটু মডার্ন বানাতে হবে। ফলে এটি রয়্যাল এনফিল্ডের সেই ক্লাসিক বাইকের ট্রিবিউট বলতে পারেন।

Advertisement

ডিজাইন ও হার্ডওয়্যার
আচ্ছা বলুন তো, রয়্যাল এনফিল্ডের এত জনপ্রিয়তার কারণ কী? এককথায় বললে, ক্লাসিক ডিজাইন ও ব্র্যান্ডিং। সঙ্গে মডার্ন হার্ডওয়্যার। সেই একই কনসেপ্ট প্রযোজ্য Flying Flea এর ক্ষেত্রেও।

USD ফর্ক ও স্ট্যাগার্ড হুইল সেটআপ (সামনে ১৯ ইঞ্চি, পিছনে ১৮ ইঞ্চি): যেকোনও খারাপ রাস্তা, পাথুরে পথে সহজেই চালানো যাবে।

এন্ডুরো স্টাইল সিট: লম্বা সিট; লং রাইড ও স্ট্যান্ডিং রাইডিং এর জন্য পারফেক্ট।

চেন ড্রাইভ: মাইল্ড অফ রোডিং এর জন্য যথেষ্ট।

ম্যাগনেসিয়াম ফিনড ব্যাটারি কেস: এর ফলে ওজন কমবে। কুলিং বাড়বে। ভারতে যে কোনও ইভির ক্ষেত্রে এই কুলিং বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

এই বাইকের ইলেকট্রনিক্সের পিছনে ভারত ও ব্রিটেনের টিম যৌথভাবে কাজ করেছে। ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট। রয়্যাল এনফিল্ড এই বাইকটি বেশ সিরিয়াসলি নিচ্ছে। 

'Flying Flea' কবে নাগাদ লঞ্চ হতে পারে?
Flying Flea এর দামের বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি রয়্যাল এনফিল্ড। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ম্যাগনেসিয়াম ব্যাটারি কেস, হাই এন্ড সাসপেনশন, ভাল প্রসেসর; সব মিলিয়ে এটি প্রিমিয়াম সেগমেন্টের EV হিসেবেই লঞ্চ হবে।

ভারত নয়, প্রথমে ব্রিটেন, আমেরিকা (ক্যালিফোর্নিয়া), ইউরোপ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় লঞ্চের পরিকল্পনা রয়েছে। ২০২৬ সালের শেষের দিকে ভারতে এই বাইক লঞ্চ করতে পারে রয়্যাল এনফিল্ড।

Read more!
Advertisement
Advertisement