দু'দিন লাগাতার বৃদ্ধির পর পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম থিতু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কিন্তু ফের দাম বাড়ার ষোলোআনা আশঙ্কা রয়েছে। কারণ বৃহস্পতিবার কাঁচা তেলের দাম ১২০ ডলার প্রতি ব্যারেল পৌঁছে গিয়েছে।আসলে ক্রুড অয়েল এর বর্তমান দাম দেখতে গিয়ে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে পেট্রোলের দাম ১৫ টাকা প্রতি লিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। ১৩৭ দিন পর্যন্ত পেট্রোলের দাম ব্রেক দেওয়ার পর ২২ এবং ২৩ মার্চ ৮০ পয়সা প্রতি লিটার এবং ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। আপনি যদি সোজাভাবে পেট্রোল ডিজেল নাও কেনেন, কিন্তু আপনাকে মূল্যবৃদ্ধির মূল্য চোকাতে হবে। মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব সবজি থেকে শুরু করে নিত্যব্যবহার্য জিনিসের উপর পড়ছে।
কাঁচা তেল এর দামে উত্থান
আপাতত দেশের চার মহানগরে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম এরকম-
দিল্লিতে পেট্রোল ৯৭.০১ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল ৮৮.৭৮ টাকা প্রতি লিটার, মুম্বইতে পেট্রোলের দাম ১১১.৬৭ টাকা এবং ডিজেল ৯৫.৮৫ টাকা প্রতি লিটার রয়েছে। কলকাতাতে পেট্রোল ১১১.৬৭ যেখানে ডিজেল ৯১.৮৫ টাকা প্রতি লিটার দাম রয়েছে। সেখানে চেন্নাইয়ে পেট্রোলের দাম ১০২.৯১ টাকা এবং ডিজেল ৯২.৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও বাড়তে পারে দাম
তথ্য অনুযায়ী পেট্রোল এবং ডিজেলের দামের লাগাতার বেশ কিছুদিন বৃদ্ধি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের সমস্যা আরও বাড়তে শুরু করবে। কারণ পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম এর ওপর নির্ভর করেই গোটা আন্তর্জাতিক বাজার এবং কাঁচামাল সবজি থেকে সাধারণ জিনিসপত্র সব কিছুর দাম নির্ভর করে। ক্রুড অয়েলের দাম ৮২ ডলার প্রতি ব্যারল ছিল কদিন আগেই। এখন বেড়ে ১২০ ডলার প্রতি ব্যারল পৌঁছে গিয়েছে।
১৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে পেট্রোলের দাম
এই ভাবে যদি দেখা যায় তাহলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম প্রায় ১৫ টাকার কাছাকাছি বাড়তে পারে। এই বৃদ্ধির প্রভাব ফল-সবজি সমেত ঘরোয়া সমস্ত জিনিসের উপর পড়তেই রিয়েল এস্টেটের মূল্যবৃদ্ধি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব
এটাই নয়, রাশিয়া-ইউক্রেন রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ এর প্রভাবে শুধু পেট্রোল-ডিজেলের সমস্ত জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। সূর্যমুখী, পামওয়েল, বনস্পতি তেল, বাদাম তেল, গম আটা এবং সরষের তেলের দাম লাফিয়ে বাড়ছে। গত একমাসে সূর্যমুখী তেলের দাম ১৯.৬ শতাংশ, পাম অয়েল ১৪.৫ শতাংশ, সোয়া তেল ১১.১ শতাংশ, বনস্পতি অয়েল ৯.৪ শতাংশ, বাদাম তেল ৫.৩ শতাংশ, গম ১.৩ শতাংশ এবং আটা ০.৯ শতাংশ এবং সরষার তেল ০.৪ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ফ্রিজ, বিভিন্ন জিনিস ইলেকট্রনিক জিনিসের দাম বহু কোম্পানি বাড়িয়ে দিয়েছে।