অনেকেই SIP বা ব্যাঙ্কের কোনও স্কিমে ভরসা রাখেন না। বরং তাঁদের কাছে বেশি আপন Post Office-এর নানা সেভিংস স্কিম। আসলে পোস্ট অফিসে PPF থেকে শুরু করে সুকন্যা সমৃদ্ধি, সিনিয়র সিটিজেন সেভিং স্কিম সহ নানা প্রকল্প চালায় কেন্দ্রীয় সরকার। আর এগুলি খুবই জনপ্রিয়।
আসলে সাধারণ মানুষ এই স্কিমগুলিকে রিস্ক ফ্রি বলে মনে করেন। পাশাপাশি এই স্কিমগুলি থেকে গ্যারেন্টেড ইনকামও পাওয়া যায়। তাই অনেকেই অন্য কোনও ঝুঁকিপূর্ণ স্কিমের বদলে পোস্ট অফিসের উপরই করেন নির্ভর।
আর এই ধরনের ব্যক্তিদের জন্য আরও একটা ভালো খবর নিয়ে এসেছি আমরা। এই নিবন্ধে আমরা এমন স্কিমের কথা জানাব, যেগুলির মাধ্যমে নিশ্চিন্তে অবসর কাটাতে পারবেন। এই স্কিমে অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে অবসরের সময় পাবেন কোটি খানেক টাকা। পাশাপাশি কোয়ার্টারলি পেনশনও মিলবে।
তবে কোনও একটা স্কিমের মাধ্যমে এই সুবিধা পাবেন না। বরং আপনাকে দুটি স্কিমে টাকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে PPF এবং Senior Citizen Savings Scheme (SCSS) রাখতে হবে টাকা।
প্রথমে পিপিএফ-এ ইনভেস্ট করুন টাকা
পিপিএফ এমন একটি স্কিম যেখানে আপনি অনেক দিন ধরে বিনিয়োগ করলে বিরাট লাভ পাবেন। এই স্কিমে সরকার বছরে ৭.১ শতাংশ সুদ দেয়।
আর যে কোনও মানুষ এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। এর ম্যাচুরিটি পিরিয়ড হল ১৫ বছর। তবে আপনি চাইলে ৫ বছর করে ২ বার এই স্কিমের মেয়াদ বাড়াতে পারেন।
মনে রাখবেন, এটি একটি ট্যাক্স ফ্রি স্কিম। তবে এতে চাইলেই আপনি একগাদা টাকা রাখতে পারবেন না। বরং বছরে ১.৫ লক্ষ টাকার লিমিট রয়েছে। এর বেশি টাকা জমানো যাবে না।
প্রতিদিন ৪১৬ টাকা করে জমান
বছরে দেড় লক্ষ টাকা একবারে জমাতে না পারলে মাসে মাত্র ১২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়েই শুরু করুন জার্নি। আর মাসে একবারে টাকাটা জমা দিতে না পারলে দিনে জমা করুন ৪১৬ টাকা। তাতে বছরের শেষে ১.৫ লক্ষ টাকা জমাতে পারবেন পিপিএফ-এ। আর এই টাকায় কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না।
জেনে রাখুন, এ ভাবে যদি আপনি মাত্র ১৫ বছর টাকা রাখেন, তাহলে ৭.১ শতাংশ হারের সুদে আপনি পাবেন ৪১.৩৫ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে আপনার জমানো টাকা থাকবে মাত্র ২২.৫০ লক্ষ টাকা। আর ইন্টারেস্ট পাবেন ১৮.৮৫ লক্ষ টাকা।
২০ বছর এই নিয়মে জমালে পাবেন ৬৭.৬৯ টাকা। যার মধ্যে আপনার অবদান থাকবে ৩০ লক্ষ। ও দিকে ৩৭.৬৯ লক্ষ টাকা ইন্টারেস্ট পাবেন।
২৫ বছর এই স্কিমে টাকা জমালে ১.০৩ কোটি টাকা পাবেন।
ইনভেস্ট করুন সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে
৬০ বছর ঊর্ধ্ব যে কোনও মানুষ এই স্কিমে টাকা রাখতে পারেন। তবে কোনও কর্মী যদি ৫৫ বছরে ভলেন্টারি রিটায়ারমেন্ট নেন, তিনি এই স্কিমে টাকা রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে সিঙ্গল অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ এবং জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে ৩০ লক্ষ টাকা রাখা সম্ভব। এই স্কিমে ৮.২ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়।
এক্ষেত্রে আপনি ৩০ লক্ষ টাকা জমা রাখার মাধ্যমে ৮.২ শতাংশ হারে প্রতি ৩ মাসে পাবেন ৬১ হাজার ৫০০ টাকা। ৫ বছর এ ভাবে টাকাটা রেখে দিন। তারপর আবার টাকাটা একই স্কিমে করে দিন বিনিয়োগ। তাতেই আপনার রিটায়ারমেন্ট দারুণ ভাবে চলে যাবে।