
রুপোর দাম বর্তমানে আকাশছোঁয়া। ২০২৫ সালের শুরুতে কেউ ভাবতে পারেনি, যে এই বছরে রুপো ঠিক এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কারণ সকলেরই মনোযোগ ছিল সোনার দিকে। রুপোর দাম এখনও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতিদিন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে রুপোর দাম। পরিসংখ্যান বলছে ২০২৫ সালে রুপোর দাম ১৫০% এরও বেশি বেড়েছে।
আজ রুপোর দাম ২ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এক বছর আগেও আজকের দিনে প্রতি কেজিতে রপোর দাম ছিল প্রায় ৯০ হাজার টাকা। মাত্র এক বছরের মধ্যেই রুপো বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান ধাতুগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র গয়না বা মুদ্রা হিসেবে নয়। বরং ইন্ডাস্ট্রি খাতে, ইলেকট্রনিক্স এবং গ্রিন এনার্জিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে রুপোর চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৩-২৪ সালের তথ্য অনুসারে, মেক্সিকো এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। গ্লোবাল মাইন প্রোডাকশন অনুসারে, মেক্সিকো বিশ্বের বৃহত্তম রুপো উৎপাদনকারী দেশ। এই দেশটি প্রায় ২০২ মিলিয়ন আউন্স রুপো উৎপাদন করছে, যা বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের প্রায় ২৪ শতাংশ।
পেরুতে সবচেয়ে বেশি রুপো রয়েছে
কিন্তু যদি মজুদের কথা ধরা হয়, সেক্ষেত্রে বলতে হবে পেরুতে সবচেয়ে বেশি রুপো মজুদ রয়েছে। বর্তমানে পেরুতে প্রায় ১১০,০০০ মেট্রিক টন মজুদ রয়েছে। বিশ্বের মোট রুপো মজুদের প্রায় ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ রয়েছে পেরুতেই। পেরুর মতো দেশগুলি রৌপ্য রপ্তানির মাধ্যমে রাজস্ব আয়ও করেছে। এরপরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং রাশিয়া। যাদের যথাক্রমে প্রায় ৯৪,০০০ এবং ৯২,০০০ মেট্রিক টন রুপো মজুদ রয়েছে। চিনের হাতে প্রায় ৭২,০০০ মেট্রিক টন রুপো রয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী চতুর্থ স্থানে রয়েছে। আমেরিকার হাতে রুপো মজুদের পরিমাণ প্রায় ২৩,০০০ মেট্রিক টন।
এই তালিকায় ভারত ধারেকাছে নেই। আসলে ভারত রুপোর বিষয়ে আমদানির উপরই নির্ভরশীল। বিশ্বব্যাপী রুপোর তুলনায় ভারতের রুপো মজুদের পরিমাণ খুবই কম। পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে প্রায় ৮,০০০ মেট্রিক টন রুপো মজুদ রয়েছে। যা বিশ্বের মোট রুপোর মাত্র ১-২ শতাংশ। ভারতের প্রধান রুপো উৎপাদনকারী রাজ্যগুলি হল রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং হরিয়ানা।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রুপো মজুদ আছে কোন কোন দেশে?
ভারত প্রচুর পরিমাণে রুপো আমদানি করে
ভারত বিশ্বের অন্যতম রুপোর গ্রাহক। তবে আমাদের দেশ বছরে মাত্র ৭০০ টন রুপো উৎপাদন করে। ২০২৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, ভারত ৭৬০০ টন রুপো আমদানি করেছে।