
বাংলায় গত নভেম্বর মাস থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে SIR প্রক্রিয়া। ইতিমধ্যেই এনুমারেশন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তারপর বেরিয়ে গিয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। তবে সেই লিস্ট এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়া প্রায় সকলেরই নাম রয়েছে। তাই নতুন করে হিয়ারিং শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এই পর্বে সন্দেহজনক ভোটারদের ডাকছে কমিশন। তাদের কাছে নির্দিষ্ট নথি চেয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি করা হচ্ছে কিছু প্রশ্ন। তারপরই সন্দেহ মিটলে ভোটার লিস্টে নাম থাকবে বলে জানান হচ্ছে।
আর হিয়ারিং পর্বের প্রথম ধাপে ডাকা হচ্ছে নন ম্যাপিং ভোটারদের। এই তালিকায় প্রায় ৩৪ লক্ষ ভোটার রয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন প্রশ্ন হল, এই নন ম্যাপিং বিষয়টা ঠিক কী? আর Unmapped কথার অর্থই বা কী? সেই উত্তরটাই সহজভাবে দেওয়া হল নিবন্ধটিতে।
ম্যাপিং বা Unmapped কী?
আসলে SIR প্রক্রিয়া শুরুর সময় থেকেই ২০০২ সালের ভোটার লিস্টকে প্রামাণ্য হিসেবে ধরে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এই তালিকায় নিজের বা পরিবারের (বাবা-মা, ঠাকুরদা-ঠাকুরমা) কারও নাম থাকলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথাই নয়।
এক্ষেত্রে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার সময় ২০০২ ভোটার লিস্টে কার নাম রয়েছে সেটা লিখতে হতো। এই জায়গাটা পূরণ করা থাকলেই ভোটারকে বংশ অনুযায়ী সাজিয়ে ফেলা সম্ভব। এটাই হল ম্যাপিং। এই ম্যাপিং হয়ে গেলে কোনও সমস্যাই আর নেই।
তবে অনেকেরই নিজের বা পরিবারের কারও নাম ২০০২ ভোটার লিস্টে নেই। তাই তাঁরা এনুমারেশন ফর্মেও সেই তথ্য দিতে পারেননি। আর তাঁদেরকেই আনম্যাপড বা নন ম্যাপিং ভোটার বলছে কমিশন।
এই সব ভোটারকে ডাকতে শুরু করেছে কমিশন। তাদের পক্ষ থেকে এই সকল মানুষের কাছে নির্দিষ্ট নথি চাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রয়োজন হলে করা হচ্ছে কিছু প্রশ্ন। তারপরই ২০২৫ সালের ফাইনাল ভোটার লিস্টে নাম থাকবে বলে জানান হয়েছে।
কী কী নথি লাগছে?
এক্ষেত্রে একাধিক নথির কথা উল্লেখ করেছিল কমিশন। সেগুলি হল-