
পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তার থেকেই ইঙ্গিত মিলেছে ২৮ অক্টোবরের পর SIR ঘোষণা হতে পারে। দেশের বেশিরভাগ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই জারি হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই SIR নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের মনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় SIR-এর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। সেক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি কি SIR প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন? তেমনটা করলে কি সেই ব্যক্তি ভোট দিতে পারবেন?
আগামী সপ্তাহের মধ্যে SIR প্রোগ্রামের সময়সূচী চূড়ান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তালিকায় প্রথমেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল এবং তামিলনাড়ু। কারণ এই রাজ্যগুলিতে ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে।
SIR প্রক্রিয়া কীভাবে হবে?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ মাস সময় দেওয়া হবে। যার মধ্যে ফর্ম ফিল আপ ও জমা দেওয়া, খসড়া তালিকা জারি করা এবং দাবি, আপত্তি বা আবেদন জমা করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
SIR-এ অংশ নেওয়ার নিয়ম কী?
SIR ঘোষণার পরই দিল্লি থেকে এনুমারেশন ফর্মের সফট কপি কমিশনের ERO-দের পোর্টালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে এমন সকলেই এনুমারেশন ফর্ম পাবে। প্রত্যেক ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম আলাদা। ভোটারের এপিক নম্বর, নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ সহ ৯০% তথ্য ফর্মে ছাপা থাকবে। একজন ভোটার প্রতি ২টি করে এনুমারেশন ফর্ম ছাপাবে কমিশন। প্রত্যেক ভোটারের বাড়ি এই ফর্ম পৌঁছে দেবে BLO। ফর্ম ফিল আপ করে উপযুক্ত নথি সহ জমা করতে হবে।
কেন SIR প্রক্রিয়া অংশ না নিলে ভোট দিতে পারবেন?
SIR প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের আগেই ২০২৬ সালের শুরুতে প্রকাশিত হবে এ রাজ্যের রিভাইজড ভোটার তালিকা। কোনও ভোটার যদি SIR-এ অংশ না নেন, সেক্ষেত্রে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর ভোট না দিতে পারার সম্ভাবনাই বেশি। নতুন রিভাইজড ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে SIR-এ অংশ নিতেই হবে।
তবে কারও যদি ভোটার তালিকায় নাম না থাকে এবং SIR প্রক্রিয়ার সময়েই নাম তোলাতে হয় সেক্ষেত্রে দেওয়া হবে না এনুমারেশন ফর্ম। তাদের কমিশনের দেওয়া ৬ নম্বর ফর্ম ফিল আপ করে আবেদন করে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।