
সকাল সকাল ভূমিকম্প দেখেছে কলকাতা। একই হাল ভারতের শেয়ারবাজারেরও। এ দিন অনেকটাই পড়ল নিফটি এবং সেনসেক্স। নিফটি পড়েছে ১২০ পয়েন্ট। সেটা ট্রেড করছে ২৬০৭২ পয়েন্টে। আবার সেনসেক্সের অবস্থাও খারাপ। এটিও পড়েছে ৪৩০ পয়েন্ট। সূচক রয়েছে ৮৫২৫০ পয়েন্টে।
কত টাকা হারালেন ইনভেস্টররা?
শেয়ারবাজারে এমন ধসের ফলে ৩.৫০ লক্ষ কোটি ইতিমধ্যেই খোয়া গিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। BSE মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন যেটা ২০ নভেম্বর ৪৭৬.৪১ কোটি টাকা ছিল, সেটা এখন নেমে গিয়েছে ৪৭৩ কোটি টাকাতে।
এ দিন BSE এর টপ ৩০টা স্টকের মধ্যে ২২ টা স্টক নীচে ট্রেড করছে। ৮টি ট্রেড সামান্য উপরে রয়েছে। ও দিকে টাটা স্টিল, আদানি পোর্টস, জোম্যাটো এবং আইসিআইসি ব্যাঙ্কের শেয়ারে ধস নেমেছে। এগুলি ১ শতাংশের বেশি কমেছে। ও দিকে মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা ১.৩৪ শতাংশ এবং মারুতি সুজুকি ০.৩০ শতাংশ উপরে উঠেছে।
১৩৩ স্টক রয়েছে লোয়ার সার্কিটে
আজ বিএসই-এর ১৩২টা স্টক আপারসার্কিট হিট করেছে। অপরদিকে ১৩৩টা স্টক লোয়ার সার্কিটে পড়েছে আছড়ে। আবার ১৯১টা স্টকের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। ৬৭টা স্টক ৫২ সপ্তাহের উচ্চতায় রয়েছে। আবার ১৫৮টি স্টক ট্রেড করছে ৫২ সপ্তাহের নীচে।
কেন পড়ল মার্কেট?
এ দিন মার্কেট পড়ার কারণ সেই আমেরিকা। সেই দেশের চাকরির তথ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। আর সেই তথ্য দেখে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডিসেম্বরে ফেড রেট কাট করার যে সম্ভাবনা ছিল, সেটা আর হবে না। তাই হুড়মুড়িয়ে পড়েছে শেয়ারবাজার। এশিয়ার প্রায় সব মার্কেটের রংই লাল। এই খবর আসার পর জাপানের নিকেই ২২৫ প্রায় ২ শতাংশ পড়েছে। ও দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপি গড়িয়ে গিয়েছে ৩ শতাংশেরও কম। এছাড়া আমেরিকার মার্কেটের অবস্থাও ছিল খারাপ। নাসদাক মোটামুটি ২.১৫ শতাংশ পড়েছে। এস অ্যান্ড পি ৫০০ আছাড় খেয়েছে প্রায় ১.৫৬ শতাংশ। এছাড়া ডাও জোনস ইন্ড্রাস্টিয়ালও পড়েছে ০.৮৪ শতাংশ।
কোন কোন স্টকের অবস্থা খারাপ
বানকো প্রোডাক্ট এবং জেপি মর্গান ৫ শতাংশেরও বেশি নেমে গিয়েছে। এছাড়া হিতাচি, জেনটেক, গার্ডেন রিচ শিপ বিল্ডার্স, হিতাচি, বিশাল মেগা মার্ট, বিডিএল এবং জেএস ডব্লু এনার্জি এখনও পর্যন্ত ২ শতাংশের বেশি পড়েছে।
বিদ্র: এই নিবন্ধটি পড়ে আবার স্টক কিনবেন না বা বিনিয়োগ করবেন না। এটি খবর দেওয়ার এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এছাড়া নিজেও করুন রিসার্চ। তারপরই স্টকে করুন ইনভেস্ট।