Kolkata-Njp Train: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (North East Frontier Rail) কাটিহার ডিভিশনের (Katihar) অন্তর্গত ধূমডাঙ্গী-তিনমাইল হাট-মঙ্গুরজান সেকশনে, প্যানেল ইন্টারলকিং সিস্টেম প্রতিস্থাপন করা হল। গত কয়েক মাস ধরে কাজ চলছিল। এর আগে একটি ব্লক সিগনালিং চালু হয়েছিল। অবশেষে দ্বিতীয় অটোমেটিক ব্লক সিগনালিং সিস্টেম চালু করে দেওয়া হল। এর ফলে অনেক বেশি ট্রেন এই রুটে চালানো সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।
অটোমেটিক সিগনালিং সিস্টেম (Automatic Signaling System), রেলওয়ের বেশি ট্র্যাফিক থাকা সেকশনগুলিতে বেশি সুরক্ষা প্রদান করবে। যান্ত্রিক সিগন্যাল হওয়ায় ভুলভ্রান্তি অনেক কম হয়। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যানজটপূর্ণ সেকশনগুলিতে অধিক ট্রেন পরিচালনার সুবিধার জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এই নতুন আপগ্রেডেড অটোমেটিক ব্লক সিগনালিং সিস্টেম চালু হল। এতে বর্তমান সিগনালিং সিস্টেমটি আপগ্রেড হয়ে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া যাবে।
নতুন অটোমেটিক সিগনালিং সিস্টেমটি ১৫ কিলোমিটার এলাকার ট্র্যাকের সেকশন এর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) ইয়ার্ড হয়ে আমবাড়ি ফালাকাটা থেকে মোট ৫৬ কিলোমিটার সেকশন আপাতত এই সিগনালিং সিস্টেমের মধ্য এল। অটোমেটিক সিগনালিং সিস্টেম লাইনে ট্রেন চলাচলের ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি করে। যাতে একই সেকশনে অনেক বেশি ট্রেন পরিচালনা করা যায়। ধূমডাঙ্গি-তিনমাইল হাট-মঙ্গুরজান সেকশনটিতে সুপারভাইজার ট্র্যাক সেকশন রিসেটিং সহ ৯৮টি মাল্টি সেকশন ডিজিটাল অ্যাক্সেল কাউন্টারের পাশাপাশি ০৩ অটো হাট-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, অটোমেটিক সিগনালিং সেকশনের মধ্যে আগমন ও প্রস্থানের সময় ট্রেনের চলাচল স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনার জন্য ১৭টি চার এসপ্যাক্ট অটো সিগনালের ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে। এন. এফ. রেলওয়ের এই সেকশনে বাস্তবায়িত হওয়া ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমটিতে হট স্ট্যান্ডবাই সিস্টেম সহ প্রতিটি অটো হাট-এ লজিক টেকনোলজি রয়েছে।
অটো হাট থেকে ইউনিভার্সেল-ফেইল-সেফ-ব্লক-ইন্টারফেস ব্যবহার করে ফেইল-সেফ-ইন্টারফেস অব ডেটার ব্যবস্থাও এই সিস্টেমে থাকবে। সেকশনটিতে অন্যান্য সমস্ত ব্যবস্থার পাশাপাশি অটোমেটিক সিগনাল অ্যান্ড অ্যাপ্রোচ ওয়ার্নিং সিস্টেম সহ ০৮টি লেভেল ক্রসিং গেটের ইন্টারলকিং স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন আর ট্রেন বাড়াতে কোনও বাধা থাকল না। রেলের তরফে আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই রেলের তরফ থেকে একাধিক ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গও-কলকাতাও প্রচুর বাড়তি ট্রেন পাবে।