উচ্চমাধ্যমিকের পর পড়ুয়াদের জীবনটা বেশ খানিকটা বদলে যায়। সদ্য কলেজে ওঠা সেই ছেলে বা মেয়েটি বন্ধুদের সঙ্গে এদিক-ওদিক ঘোরা, সিনেমা দেখা, ঘুরতে যাওয়ার স্বাধীনতা কিছুটা হলেও পায়। অনেকেই রয়েছেন যারা এই সময়ে নিজেদের হাত খরচের জন্য মা-বাবার ওপর নির্ভর না হয়ে নিজেরাই পার্ট টাইম জব করে থাকেন। আজকাল চাকরিক্ষেত্রে অনেক সময়ই কাজের অভিজ্ঞতাকে খুব গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। তাই কলেজে পড়াকালীন ফাঁকা সময়ে শুধু আড্ডা মারা ছাড়াও অনেক আংশিক সময়ের কাজ করতে পারেন ছাত্রছাত্রীরা। আসুন তাহলে জেনে নিন পড়াশোনার ফাঁকে কোন কোন কাজ শিক্ষার্থীরা করলে লাভবান হবেন।
অনলাইনে পড়ানো বা কোচিং
ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে পড়িয়ে নিজেদের মতো করে আয় করতে পারেন। যেহেতু ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যেক মুহূর্তে কিছু না কিছু নতুন শিখছেন সেই শিক্ষা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য শুরু করতে পারেন অনলাইনে পড়ানো। আপনি যদি এই পদ্ধতিতে পড়ানো শুরু করতে চান, তাহলে ভার্চুয়াল টিউটোরিয়াল প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে পারেন। এর জন্য বেশ কিছু প্ল্যাটফর্মে সাইন আপ করে প্রতি ঘন্টায় ২০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
কনটেন্ট রাইটার
যে ছাত্রছাত্রীদের লেখালেখির সহজাত দক্ষতা রয়েছে, তাঁরা এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরণের লাভজনক ‘কনটেন্ট’ লিখতে পারেন। এই ‘কনটেন্ট লেখার কাজটি পড়াশুনোর ফাঁকে যে কোনও সময়েই করা যায় আর তাই ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই কাজের জনপ্রিয়তাও অনেক। কোম্পানিগুলি তাদের ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজের বিভিন্ন ধরনের লেখালেখির জন্য মাঝেমধ্যেই শিক্ষার্থীদের আংশিক সময়ের জন্য নিযুক্ত করেন। এই কাজ করে শিক্ষার্থীরা মাসে সর্বোচ্চ ৫,০০০-৮,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এই কাজে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখির জন্য শিক্ষার্থীদের লেখার দক্ষতারও উন্নতি ঘটে।
ডেটা এন্ট্রি অপারেটার
দ্বাদশ পাশ করেই ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন কোম্পানিতে ডেটা এন্ট্রি অপারেটারের কাজ আংশিক সময়ের জন্য করতে পারেন। কোম্পানিগুলি তাদের সমস্ত ডেটা সামলানোর দায়িত্ব কোনও নির্ভরযোগ্য কর্মীর হাতেই দিতে চান। নানা ধরনের ডেটা বুঝে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি বের করে আনতে পারলে ও সেগুলি কম্পিউটারের ডেটা শিটে ঠিক করে সাজাতে জানলেই এই কাজ ছাত্রছাত্রীরা করতে পারবেন। এই কাজ করেও কলেজ শিক্ষার্থীরা উপার্জন করতে পারেন অনায়াসে।
স্কিল ডেভলপমেন্ট করে আয়
ছাত্র-ছাত্রীরা যদি ইনকাম করতে চান তাহলে ছয় মাস ও এক বছর সময় নিয়ে নিজেকে পাকাপোক্ত তৈরি করে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। যেমন ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, থ্রি ডি মডেল, প্রেজেন্টেশন তৈরি, এনিমেশন, কার্টুন আঁকা ইত্যাদি।
রিসেপশনিস্ট
যাঁরা কোনও সংস্থায় ফ্রন্ট ডেস্কে বসে অতিথিদের ব্যবস্থাপনা, অতিথি তালিকা বানানো ও অন্যান্য কাজের হিসাব রাখার মতো দায়িত্ব সামলান, তাঁদেরকেই রিসেপশনিস্ট বলা হয়। বিভিন্ন হোটেল, হাসপাতলে এই কাজ আংশিক সময়ের জন্য শিক্ষার্থীরা করতে পারেন। এর জন্য কোনও বিশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতারও প্রয়োজন হয় না।