দেশজুড়ে ঊর্দ্ধমুখী টমেটো, আলু, চিকেনের দাম। ফলে দাম বেড়েছে আমিষ ও নিরামিষ থালির। একদিকে কর, অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল মধ্যবিত্ত। যে হারে থালির দাম বাড়ছে, তাতে সাধারণ মানুষের বাজেটকে প্রভাবিত করছে। বাড়িতে তৈরি থালির দামের ওঠানামা নিয়ে ক্রিসিলের নতুন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ডিসেম্বরে নিরামিষ এবং আমিষ থালির দাম বেড়েছে।
CRISIL-এর মতে, ডিসেম্বরে বাড়িতে তৈরি নিরামিষ খাবারের থালির গড় দাম ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩১.৬০ টাকা হয়েছে। যেখানে ২০২৩-এর ডিসেম্বরে বাড়িতে তৈরি নিরামিষ থালির দাম ছিল ২৯.৭০ টাকা।
ডিসেম্বরে থালির দাম
মাসিক ভিত্তিতে অর্থাৎ ২০২৪-এর নভেম্বরে ৩২.৭০ টাকা তুলনায় নিরামিষ থালির দাম ৩ শতাংশ কমেছে। ক্রিসিলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলু ও টমেটোর দাম বাড়ায় ভেজ থালির দাম বেড়েছে। বার্ষিক ভিত্তিতে আলুর দাম ৫০ শতাংশ এবং টমেটোর দাম ২৪ শতাংশ বাড়ায়, থালির দাম বেড়েছে।
আর যে যে খাবারের দাম বেড়েছে
এ ছাড়া, সবজি ও ভোজ্যতেলের দামও ১৬ শতাংশ বেড়েছে। শুধু এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১১ শতাংশ কমেছে, যা কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। গৃহস্থালীর বাজেটে ভোজ্য তেল সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে কারণ এটি খাদ্য থেকে শুরু করে সাবানের মতো দৈনন্দিন জিনিসপত্রে ব্যবহৃত হয়।
এই পরিস্থিতিতে শুধু এই পণ্যের দাম বাড়ায় জনগণের বাজেটের ওপর চাপ বাড়ছে। আমিষ থালিরও ডিসেম্বরে দামও বেড়েছে। ক্রিসিলের মতে, ডিসেম্বরে নন-ভেজ থালির দাম ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩.৩০ টাকা।
এক বছর আগে আমিষ থালির দাম কত ছিল?
এর আগে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে, আমিষ থালির দাম ছিল ৫৬.৪০ টাকা। মাসিক ভিত্তিতেও, নন-ভেজ থালির দাম নভেম্বর মাসে ৬১.৫০ টাকা তুলনায় ডিসেম্বর মাসে ৩ শতাংশ বেড়েছে। নন-ভেজ থালির দাম বাড়ার প্রধান কারণ ব্রয়লার মুরগির দাম, যা বছরে ২০ শতাংশ বেড়েছে।
আমিষ থালির মোট খরচের ৫০ শতাংশই মুরগির। এই মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে সাধারণ মানুষের রান্নাঘরে ও খাওয়া খরচ ক্রমাগত বাড়ছে।