
বিপদ কখনও বলে কয়ে আসে না। বরং এটা অতর্কিতেই হামলা চালায়। বিশেষত, শরীর খারাপ যে কখন হয়, সেটা আগে থেকে বলা সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অনেকটা টাকা খরচ হতে পারে। আর তখন হাতে টাকা না থাকলেই সর্বনাশ। সেক্ষেত্রে অন্যের থেকে ধার নিতে হয়। তাই এমন পরিস্থিতির জন্য আগেভাগে তৈরি থাকতে হবে। বানিয়ে ফেলতে হবে মেডিক্যাল ফান্ড।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকটা মানুষের আলাদা করে একটা মেডিক্যাল ফান্ড তৈরি করা দরকার। এই কাজটা করলেই সুরক্ষিত থাকবেন। বিপদের সময় আপনি সামলে নিতে পারবেন।
এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কীভাবে তৈরি করা সম্ভব হবে এই ফান্ড? তার উত্তরটা দেওয়া রইল এই নিবন্ধে।
আয়ের ৫ শতাংশ জমান
মেডিক্যাল এমার্জেন্সির জন্য আপনাকে আয়ের মোটামুটি ৫ শতাংশ তুলে রাখতে হবে। অর্থাৎ আয় যদি ৩০ হাজার হয়, তাহলে প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা আলাদা করে এই ফান্ডের জন্য সরিয়ে রাখুন। এভাবে যার যেটা আয়, সেভাবেই হিসেব করে চলতে হবে। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে। দেখবেন বছর শেষে একটা মোটামুটি অঙ্ক সেখানে জমিয়ে ফেলতে পারবেন।
ফালতু খরচ নয়
অনেকেই আলতু ফালতু নানা খরচ করেন। এই হয়তো কোনও বড় রেস্তোরাঁয় গিয়ে খেয়ে নিলেন। কিনে নিলেন একটা দামি ফোন। এভাবেই তারা জীবন কাটান। কিন্তু ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স থাকে শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে বিপদ হলে আর সামাল দেওয়া যায় না। তাই বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের ফালতু খরচ বন্ধ করার পরামর্শ দিলেন। সেই টাকা দিয়ে মেডিক্যাল ফান্ড গঠন করুন। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে।
বিনিয়োগ করতে পারেন
বয়স যদি কম হয়, তাহলে এই টাকা আপনি ব্যাঙ্কে না রেখে বিনিয়োগ করুন। মিউচুয়াল ফান্ড থেকে স্টক মার্কেট, নিজের যেখানে খুশি, সেখানে টাকাটা রাখুন। এত রিস্ক না নিতে চাইলে এফডি বা আরডি করে নিতে পারেন। তাতেও কোনও সমস্যা নেই। তবে টাকাটা শুধু শুধু ব্যাঙ্কে ফেলে রাখবেন না।
ইনস্যুরেন্স মাস্ট
মনে রাখবেন, এখন চিকিৎসার খরচ ঊর্ধ্বমুখী। তাই শুধু নগদ টাকা দিয়ে আপনি এই পরিস্থিতি সামলে দিতে পারবেন না। বরং আপনাকে অবশ্যই ইনস্যুরেন্স করতে হবে। মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্স কিন্তু আপনাকে বড় বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তাই এটা করিয়ে নিন।