ডেডলাইন ৩০ নভেম্বর। এর মধ্যেই বানিয়ে ফেলতে হবে টোটোর লাইসেন্স। না হলে আর চালানো যাবে না টোটো। ফলে জেনে নেওয়া প্রয়োজন, এই রেজিস্ট্রেশন করাতে হলে কী কী করতে হবে? ৩০ নভেম্বরের পর নম্বর প্লেট ছাড়া টোটো চালানো যাবে না। নির্দিষ্ট আরটিও (RTO) অফিস বা অনলাইন পোর্টাল parivahan.gov.in–এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। রইল সব প্রশ্নের উত্তর।
কী কী নথিপত্র লাগবে?
১. আধার কার্ড
২. ব্যাংকের পাসবই
৩. টোটোর নথি
৪. টোটোর ছবি
৫. ইলেট্রিক মিটারের নম্বর
৬. ড্রাইভিং লাইসেন্স
৭. টোটোর মোটরের তথ্য
৮. ডিলারের তথ্য
৯. টোটোর বিল
কোন পোর্টালে আবেদন করবেন?
প্রথমে আবেদনকারীকে স্থানীয় RTO অফিসে বা অনলাইনে ফর্ম জমা দিতে হবে। যাচাইয়ের পর একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হবে। একইসঙ্গে টোটোর ফিটনেস সার্টিফিকেট এবং ইন্স্যুরেন্সও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আবেদনের পর কী করবেন?
১. প্রথমে টোটো মালিককে Toto Enrollment Number (TTEN WB IN)-এর অফিসিয়াল পোর্টালে যেতে হবে। সেখানে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করে সরাসরি ইন্টারভিউ পোর্টালে যাওয়া যাবে।
২. এরপর Toto Registration Portal-এ থাকা Apply for TTEN Now অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৩. এরপর টোটো ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর লিখে Send OTP অপশনে ক্লিক করতে হবে। এই কাজ হয়ে গেলে OTP বসিয়ে ভেরিফাই করতে হবে।
৪. এর পরের ধাপটি হলো Apply for TTEN-এ ক্লিক করা। টোটো ড্রাইভারের আধার কার্ডের নম্বর লিখে নিচের বক্সে গিয়ে Send OTP অপশনে ক্লিক করতে হবে। আধার কার্ডের সঙ্গে যে মোবাইল নম্বর যুক্ত সেখানেই এবার যাবে OTP। সেটা যথাস্থানে বসিয়ে ভেরিফাই করতে হবে।
৫. আধার কার্ড অনুযায়ী নাম, ঠিকানা ও ফটো ধাপে ধাপে চলে আসবে। Next অপশনে ক্লিক করতে হবে।
৬. পরবর্তী পেজ খুললে Toto-এর ডিটেলস দিতে হবে। অর্থাৎ কোম্পানির নাম, টোটোর গায়ের রং, মোটর নম্বর দিয়ে ফের Next-এ ক্লিক করুন।
৭. পরবর্তী পেজে টোটোটি কোন ডিলারের কাছ থেকে কেনা হয়েছে, তাঁর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করুন এবং Next-এ ক্লিক করুন।
৮. এবার টোটোর রশিদ আপলোড করতে হবে এবং ফাইনাল সাবমিট করে দিতে হবে। তাহলেই বেরিয়ে আসবে টোটোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর।
৯. এরপর নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পেমেন্ট করলে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। এই রেজিস্ট্রেশনের পর দিন সাতেকের মাথায় সার্টিফিকেট মিলবে। এছাড়াও নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করলে স্ট্যাটাসও দেখে নিতে পারবেন।
টোটো রেজিস্ট্রেশনের খরচ কত?
টোটো রেজিস্ট্রেশনের জন্য এবং এক বছরের রিনিউয়াল ফি মোট ধরে পড়বে ১৭৪০ টাকা। অনলাইনে এই টাকাটা পে করতে হবে। এছাড়াও রেজিস্ট্রেশন এবং ১৮ মাসের রিনিউয়াল ফি সহ মোট ২৯৪০ টাকাও অনলাইন পেমেন্ট করতে পারেন। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি টোটোকে রেজিস্ট্রেশনের কাজটা সেরে ফেলতে হবে। যে কোনও ধরনের সমস্যায় পড়লে পরিবহণ দপ্তরে গিয়ে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
আর কী কী অতিরিক্ত তথ্য লাগবে?
১. আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল নং।
২. আবেদনকারীর রক্তের গ্রুপ।
৩. সক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
৪. টোটো প্রস্তুতকারক এর তথ্য।
৫. টোটো মডেল।
৬. টোটো চ্যাসিস নং।
৭. মোটর নং।
৮. মোটর পাওয়ার।
৯. টোটোর রঙ।