ভারতে পরিবহন ব্যবস্থার এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। বুলেট ট্রেন প্রকল্পের পাশাপাশি এবার দেশের প্রথম হাইপারলুপ টেস্ট ট্র্যাক প্রস্তুত হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই খবর শেয়ার করে জানিয়েছেন যে আইআইটি মাদ্রাজ-এর সহযোগিতায় তৈরি এই ট্র্যাকটি ভারতীয় রেলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
হাইপারলুপ ট্র্যাকের প্রধান বৈশিষ্ট্য
লম্বা ট্র্যাক: ৪২২ মিটার
সহযোগী সংস্থা: রেলওয়ে এবং আইআইটি মাদ্রাজ
গতি: ঘণ্টায় ৬০০-১২০০ কিমি
পরীক্ষার লক্ষ্য: ঘণ্টায় ৬০০ কিমি গতিতে ট্রেন পরীক্ষা
কীভাবে কাজ করে হাইপারলুপ প্রযুক্তি?
হাইপারলুপ এমন এক আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা যেখানে ট্রেনটি ভ্যাকুয়াম টিউবের মধ্যে চলে। এর ফলে বায়ু প্রতিরোধ কমে যায় এবং ট্রেন উচ্চগতিতে চলতে সক্ষম হয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল:
কম সময়ে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম
উচ্চগতির কারণে যাত্রার সময় কমে যায়
পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি
বুলেট ট্রেন বনাম হাইপারলুপ
বিষয় বুলেট ট্রেন হাইপারলুপ
সর্বাধিক গতি ৩২০ কিমি/ঘন্টা ১২০০ কিমি/ঘন্টা
৩০০ কিমি যাত্রার সময় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট
প্রাথমিক সূচনা ২০২৬ (প্রস্তাবিত) শীঘ্রই পরীক্ষার পরিকল্পনা
কেন এই প্রকল্প বিশেষ?
গতি: হাইপারলুপের মাধ্যমে ৩০০ কিমি যাত্রা মাত্র ৩০ মিনিটে সম্ভব হবে।
টেকসই পরিবহন: কম জ্বালানি খরচে দীর্ঘ দূরত্ব পাড়ি দেওয়া যাবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন: দ্রুত পরিবহন সুবিধা ব্যবসা ও পর্যটনে গতি আনবে।
গবেষণায় অগ্রগতি: সরকারের সহযোগিতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির গবেষণায় উদ্ভাবনী শক্তি বাড়বে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
ট্র্যাক প্রস্তুত হলেও শীঘ্রই ট্রেন পরীক্ষার কাজ শুরু হবে।
রেলওয়ে তৃতীয় দফায় ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে আইআইটি মাদ্রাজকে।
সফল পরীক্ষার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাণিজ্যিক হাইপারলুপ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।