
iPhone 17 লঞ্চ হয়ে গিয়েছে ভারতে। তার পর থেকেই Apple লাভারদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। ফোনটি ভারতে প্রকাশ পাওয়ার দিনই লম্বা লাইন দিয়ে অনেকেই সেটি কিনে ফেলেন। তার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধ জয়ের মতো করেন পোস্ট।
তবে মাথায় রাখতে হবে, iPhone 17-এর দাম কিন্তু কম নয়। ২৫৬ জিবি ভার্সানের iPhone 17 Pro-এর দাম দেড় লক্ষ টাকার আশপাশে। আর এই ফোনটা অনেকের পক্ষেই নগদ টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। বরং অধিকাংশ মানুষই এই ফোনটি মাসিক কিস্তি বা EMI-তে কিনছেন। আর সেই দৃশ্য দেখেই অনেক পার্সোনাল ফিনান্স বিশেষজ্ঞের মাথায় হাত। তাঁদের মতে, প্রতিমাসে এই পরিমাণ টাকা EMI না দিয়ে যদি ইনভেস্ট করা যায়, তাতে অনেক বেশি লাভ হবে।
কতটা লাভ হবে?
অধিকাংশ মানুষই iPhone 17 Pro কিনছেন ৩৬ মাসের ইএমআই-তে। আর এক্ষেত্রে প্রতিমাসে কিস্তি দিতে হবে ৪২০০ টাকার মতো। আর এই পরিমাণ টাকা যদি SIP-এর মাধ্যমে ইনভেস্ট করা হয়, তাতে লাভ মিলবে বেশি বলে মনে করেন ট্রেডজিনির সিইও ত্রিভেশ ডি।
তিনি বলেন, 'কীভাবে টাকা ব্যবহার করা হবে, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন ধরুন, আপনি যদি ১৫,০০০০ টাকা দিয়ে EMI-তে ফোন কেনার বদলে ৪১০০ টাকা করে প্রতিমাসে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলেন। আর ১২ শতাংশ হারে পেলেন রিটার্ন। তাতে আপনি ১৭৬৬০০ টাকা পেতে পারেন। অর্থাৎ ২৯০০০ টাকার লাভ হবে।'
তার মতে যত বেশি হবে গ্যাজেটের দাম, ততই ইনভেস্টমেন্ট থেকে লাভের সম্ভাবনা বাড়বে। এক্ষেত্রে যদি আপনি হাইএন্ড মডেল যার দাম ২,৩০,০০০ টাকা, সেটির বদলে ইনভেস্ট করে দেন, তাহলে মোটামুটি ৩ বছর পর ৪৫,৩০০ হাজার টাকার রিটার্ন পাবেন বলে মনে করেন তিনি।
কেন ইনভেস্ট করা জরুরি?
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, আসলে কোনও কিছু কিনলে আপনি খুব সাময়িক আনন্দ পাবেন। তবে ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ আপনাকে লং-টার্ম ভ্যালু দেবে। তাই বিনিয়োগ করা উচিত। ছোট ছোট অ্যামাউন্ট দিয়ে ইনভেস্টমেন্ট করলেও লাভ মিলবে। সেক্ষেত্রে ফ্লেক্সিক্যাপ ও মাল্টিক্যাপের দিকে লক্ষ রাখার পরামর্শ দিলেন ত্রিভেশ ডি।
তবে পরিশেষে বলব, মার্কেটে বিনিয়োগ করা সবসময়ই ঝুঁকি বিষয়। তাই বিনিয়োগের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অথবা নিজের বুদ্ধি খরচ করে করুন ইনভেস্ট।