
৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায় SIR-এর কাজ। ইতিমধ্যেই প্রায় শেষের পথে ভোটারদের কাছে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে দেওয়ার কাজ। এমনকী একটা বড় অংশের ফর্ম জমাও পড়ে গিয়েছে। আর তারপরই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে প্রায় ১৩ লক্ষ ৯২ হাজার এমন নাম রয়েছে, যাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে। আর এটা হল একবারেই প্রাথমিক হিসেব। এরপরও এমন অনেকেই থাকবেন, যাদের নাম নানা কারণে বাদ যেতে পারে ভোটার লিস্ট থেকে।
আসলে এসআইআর-এর প্রথম ধাপ চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময় ফর্ম দেওয়া এবং যাচাই করা হবে। তারপর ৯ ডিসেম্বর বেরবে খসড়া ভোটার তালিকা। সেই তালিকায় যদি নাম না থাকে, তাহলে কী করবেন? আর সেই বিষয়টা সম্পর্কেই বিশদে আলোচনা হল।
প্রাথমিকভাবে ডাকা হবে হিয়ারিংয়ে
আপনাকে প্রাথমিকভাবে হিয়ারিংয়ে ডাকা হবে। সেখানে নির্বাচন কমিশন যেই সকল তথ্য নিয়ে যেতে বলেছে, সেগুলি নিয়ে যান। তারা সেই ডকুমেন্টস দেখে সন্তুষ্ট হলে চাপ নেই। আপনার নাম উঠে যাবে ভোটার লিস্টে। কোনও বাড়তি পদক্ষেপ নিতে হবে না।
তবে একান্তই যদি সেই হিয়ারিংয়ে সন্তুষ্ট না হয় কমিশন, তাহলে নাম বাদ যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হবে।
কীভাবে নতুন করেন তুলবেন নাম?
সবার প্রথমে মাথা ঠান্ডা রাখুন। কোনও চাপ নেবেন না। এ বার অফলাইন বা অনলাইনে নতুন ভোটাররা যে ভাবে নাম তোলে, সেভাবেই তোলার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে ফর্ম ৬ পূরণ করতে হবে। সেটা পূরণ করার পর জমা দিন স্থানীয় পুরসভা বা পঞ্চায়েতে গিয়ে। এছাড়া এসডিও এবং বিডিও অফিসে গিয়েও ফর্ম জমা দিতে পারেন। আর কেউ চাইলে বাড়ি বসে অনলাইনেই National Voter’s Service Portal-এ গিয়ে ফর্ম ফিলআপ করে জমা দিয়ে দিতে পারেন। কোনও সমস্যা নেই।
এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাম বাদ পড়লে কি নাগরিকত্ব চলে যাবে?
না, এমনটা একবারেই নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর সঙ্গে নাগরকিত্ব চলে যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে এসআইআর-এ নাম বাদ গেলেও পরে নাম তোলা যাবে। তাই এই নিয়ে অত্যধিক চিন্তা করে বিপি বা সুগার বাড়াবেন না। বরং শান্ত থাকুন। যা করা দরকার, তাই করুন।