Advertisement

WhatsApp-এ পাঠানো ছবি ডাউনলোড করলেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা! বাজারে নতুন স্ক্যাম

দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ছবিটি ডাউনলোড করেন। সেই এক ক্লিকেই ঘটে যায় বিপদ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২.০১ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। পরে জানা যায়, টাকা তোলা হয়েছে হায়দরাবাদের একটি এটিএম থেকে।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 20 Apr 2025,
  • अपडेटेड 3:38 PM IST

সকালে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন এল। তার একটু বাদেই ওই নম্বর থেকেই হোয়াটসঅ্যাপে একটি ছবি ও মেসেজ এল। একজন বৃদ্ধ ব্যক্তির ছবি। লেখা, ‘Ei loktake tumi cheno?’

প্রথমে বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি মেসেজ প্রাপক। তবে পরে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ছবিটি ডাউনলোড করেন। সেই এক ক্লিকেই ঘটে যায় বিপদ। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২.০১ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে যায়। পরে জানা যায়, টাকা তোলা হয়েছে হায়দরাবাদের একটি এটিএম থেকে।

নতুন ধরনের এই প্রতারণার নাম স্টেগানোগ্রাফি স্ক্যাম। এই LSB স্টেগানোগ্রাফির মাধ্যমে অডিও বা ছবির ভিতরে লুকিয়ে রাখা হয় ভাইরাস বা গোপন কোড পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন

'স্টেগানোগ্রাফি' শব্দটি এসেছে গ্রিক ভাষা থেকে। আক্ষরিক অর্থ ‘গোপন বার্তা’। সাইবার জগতে এটি ব্যবহার করে ছবির ভিতরে এমন কোড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যা সাধারণ অ্যান্টিভাইরাস ধরতে পারে না।

সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০১৭ সালেই WhatsApp-এর GIF ফাইলের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল। GIF ডাউনলোড করলেই ভাইরাস ইনস্টল হয়ে যেত এবং ফোনের তথ্য হ্যাক হয়ে যেত। পরে সেই ফাঁক মেরামতও করেছিলেন হোয়াটসঅ্যাপের ডেভেলপাররা। তবে এবার আবার একই সমস্যা।

সাবধান!

এটি আর পাঁচটা সাধারণ ভাইরাসের মতো নয়। কোনও সন্দেহজনক লিঙ্ক বা ফেক লগইন পেজ থাকে না। ফাইল দেখলে মনে হয় নিরীহ ছবি বা অডিও। তাই মেসেজ প্রাপকের সন্দেহও থাকে না।

*.jpg, *.png, *.mp3, *.mp4, PDF—এই ধরনের ফাইলই বেশি ব্যবহার করা হয়। এগুলিই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। ফলে তার আড়ালেও যে ভাইরাস থাকতে পারে, তা কারও মাথায় আসে না।

কীভাবে হয়?

সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ অর্ণব ঘোষ জানালেন, 'যে কোনও ছবিতেই সাধারণত তিনটি রঙ থাকে—লাল, সবুজ ও নীল। এর বাইরেও একটি ‘আলফা চ্যানেল’ থাকে। সেখানেই এই ভাইরাস লুকানো হয়। ফলে প্রাপক সেই ছবি খুললেই ভাইরাস আপনার ফোনে নীরবে ইনস্টল হয়ে যায়। এই ভাইরাস সাধারণ অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে ধরাও যায় না। এর জন্য প্রয়োজন ‘ফরেন্সিক টুল’, ‘স্টেগানালাইসিস প্ল্যাটফর্ম’ বা AI-বেসড সিকিউরিটি সিস্টেম লাগে। সাধারণ ব্যবহারকারীর কাছে বা স্মার্টফোনে এগুলি থাকে না।'

Advertisement

কীভাবে সাবধানে থাকবেন?

১. অজানা নম্বর থেকে আসা ছবি বা ভিডিও ডাউনলোড করবেন না।

২. ফোনে WhatsApp-এর অটো-ডাউনলোড বন্ধ করে দিন।

৩. ফোনে নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট রাখুন।

৪. OTP কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।

৫. WhatsApp গ্রুপে কে অ্যাড করতে পারবে, সেই সেটিংসে ‘My Contacts’ করে রাখুন।

WhatsApp জানিয়েছে, স্ক্যামাররা বারবারই কৌশল পাল্টাচ্ছে। তাই অপরিচিত নম্বর থেকে মেসেজ এলে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ মেসেজ করলে বা গ্রুপে অ্যাড করলে আগে ভেবে নিন আপনি তাদের আদৌ চেনেন কিনা। অচেনা কারও পাঠানো ছবি ভুলেও ডাউনলোড করবেন না।

Read more!
Advertisement
Advertisement