
মাথার উপর একটা ছাদ হোক, এটা অনেকেরই স্বপ্ন থাকে। তবে বর্তমানে যে হারে দাম বাড়ছে, সেখানে নগদ টাকায় আর বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব নয়। তখন হোম লোন নেওয়া ছাড়া থাকে না উপায়। আর এই লোনের সুদের হার খুব একটা বেশি নয়। তাই হোম লোন নিতে চান অনেকেই।
তবে মাথায় রাখতে হবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম লোনেও বেশি ইন্টারেস্ট নিতে পারে ব্যাঙ্ক। আর তার পিছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। তাই আর সময় নষ্ট না করে সেই সব কারণগুলি জেনে নিন।
ক্রেডিট স্কোর
ব্যাঙ্ক আপনাকে মুখ দেখে লোন দেবে না। লোন দেওয়ার আগে তারা একাধিক দিক খতিয়ে দেখবেন। আর এমন পরিস্থিতিতে সবার আগে তারা খতিয়ে দেখবে ক্রেডিট স্কোর। এই স্কোরটা যত বেশি হবে, তত কম সুদে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে ক্রেডিট স্কোর কম থাকলে দিতে হবে বেশি সুদ।
এক্ষেত্রে ক্রেডিট স্কোর যদি ৭৫০-এর উপর হয়, তাহলে কম সুদে লোন পাবেন। অপর দিকে যদি ৭০০-এর নীচে হয় স্কোর, তাহলে বেড়ে যাবে সুদের হার। এটাই হল সহজ হিসেব।
কোথায় প্রপার্টি
আপনার প্রপার্টিটা কোথায়, এটার উপরও অনেক ক্ষেত্রে লোনের ইন্টারেস্ট রেট নির্ভর করে। আপনি যদি খুবই অনুন্নত জায়গায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনেন, সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের কাছে ঋণটা ঝুঁকির কারণ হয়ে যেতে পারে। তখন কিছু ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়িয়ে দেয়। তাই এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।
আপনার চাকরির ধরন
আপনি কী ধরনের কাজ করেন, তার উপরও নির্ভর করে হোম লোনের ইন্টারেস্টের হার। আপনি যদি সরকারি চাকরি করেন, তাহলে কম ইন্টারেস্ট রেটে পাবেন লোন। অপরদিকে বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি পেলে অনেক ক্ষেত্রেই ইন্টারেস্ট রেট বেশি দিতে হতে পারে।
কত টাকার লোন চলছে
অনেকেরই একাধিক লোন চলে। তারপর তারা আবার হোম লোন নিতে যান। আর এমন পরিস্থিতিতেই লোনের সুদের হার বাড়িয়ে দিতে চায় ব্যাঙ্ক। কারণ, তাদের ক্ষেত্রে নতুন করে লোন দেওয়াটা ঝুঁকির কারণ হয়ে পড়ে। তাই এমন পরিস্থিতিতে সাবধান হতে হবে। বেশি টাকার লোন নেবেন না।
লোনের টাইপ
হোম লোন সাধারণত ২ ধরনের হয়। ফিক্সড রেট এবং ফ্লোটিং রেট। দেখা গিয়েছে, ফিক্সড রেট সবসময়ই বেশি হয়। অপরদিকে ফ্লোটিং রেট থাকে অনেকটাই কম। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। নিজের বুদ্ধি খরচ করেই লোন নিন।