
অনেকেই নিয়মিত বাইক চালান। এই বাহনে চেপেই অফিস যান, বাজার যান, ঘুরতে যান, যান আড্ডা মারতে। তবে মুশকিল হল, নিয়মিত বাইক চালানো মানুষগুলি অনেক ক্ষেত্রেই তেল বাঁচানোর রাস্তা খুঁজে পান না। তাই পকেট থেকে বাড়তি টাকা খসে পড়ে। যদিও ভাল খবর হল, আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট গিয়ারে বাইক চালান, তাহলে অনায়াসে বাঁচবে তেল। হবে সাশ্রয়।
এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কোন গিয়ারে বাইক চালালে তেল বাঁচাবে? আর সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে পড়ুন নিবন্ধটি।
কোন গিয়ারে বাইক চালাবেন?
মাথায় রাখতে হবে, বাইক চালিয়ে যদি তেল বাঁচাতে হয়, তাহলে সর্বোচ্চ গিয়ারে চালাতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার গাড়িতে ৪টে, ৫টা বা ৬টা গিয়ার থাকে, তাহলে সেই টপ গিয়ারে চালাতে হবে। তাতেই বাঁচবে তেল।
যদিও মাথায় রাখতে হবে, টপ গিয়ারে গাড়ি চালাতে গিয়ে আবার হু হু করে স্পিড বাড়িয়ে ফেলবেন না। তাতে বেশি তেল খরচ হবে। এমনকী বাড়বে অ্যাক্সিডেন্টের আশঙ্কা। বরং চেষ্টা করুন ৪০ থেকে ৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার স্পিডে গাড়ি চালানোর। তাতেই দেখবেন তেল বাঁচবে।
এই প্রসঙ্গে আরও একটা টিপস দিয়ে রাখি। চেষ্টা করুন বাইক স্টার্ট করার পর যত দ্রুত সম্ভব টপ গিয়ারে চলে যাওয়ার। তাতেই তেল খরচা হবে কম।
কেন টপ গিয়ারে গাড়ি চালালে তেল বাঁচে?
লোয়ার গিয়ারে যদি গাড়ি চালানো হয়, তাহলে ইঞ্জিনের উপর বেশি চাপ পড়ে। ইঞ্জিনকে বেশি খাটতে হয়। যার ফলে তেল বেশি পোড়ে। অপরদিকে যদি আপনি হাই গিয়ারে গাড়ি চালান, তাহলে চাপ পড়ে কম। পাশাপাশি কম খরচ হয়। সেই কারণে টপ গিয়ারে বাইক চালাতে বলা হয়।
আর কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?
১. নিয়মিত বাইক সার্ভিস করুন। ৫০০ থেকে হাজার কিমি বাইক চালানোর পরই সার্ভিস করান।
২. ইঞ্জিন অয়েল এবং গিয়ার অয়েল বদলে নিন।
৩. চেষ্টা করুন চালানোর সময় ব্রেক কম ব্যবহার করার।
ব্যাস, এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই তেল বাঁচবে। আপনার আর বাইক চালাতে সমস্যা হবে না।
তবে এরপরও তেল না বাঁচলে অবশ্যই সার্ভিস সেন্টারে করুন যোগাযোগ। সেখানে কী বলে দেখুন। সারিয়ে ফেলুন বাইক। তাতেই সমস্যার হবে সমাধান।