
শহর এবং শহরতলিতে বাড়ছে বাড়ি ও ফ্ল্যাটের দাম। যার ফলে নগদ টাকায় প্রপার্টি কেনার কথা ভাবাই যাচ্ছে না। আর এই কারণেই সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ হোম লোন নেওয়ার কথা ভাবছেন। সেই মতো ব্যাঙ্কের কাউন্টারে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন।
তবে মাথায় রাখবেন, হোম লোন পাওয়া খুব একটা সহজ কথা নয়। বরং কিছু কারণে ব্যাঙ্ক হোম লোন রিজেক্ট করে দেয়। আর সেই বিষয়টা নিয়েই আলোচনা হল নিবন্ধটিতে।
লো ক্রেডিট স্কোর
সবার আগে ব্যাঙ্ক ক্রেডিট স্কোর দেখব। সেই স্কোরটা যদি কমের দিকে থাকে, তাহলে ব্যাঙ্ক লোন না দিতেও পারে। এক্ষেত্রে ৬৫০-এর নীচে যদি ক্রেডিট স্টোর থাকে, তাহলে লোন পেতে সমস্যা হয়ে যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আর অপরদিকে ক্রেডিট স্কোর যদি ৭৫০-এর উপর থাকে, তাহলে খুব সহজেই হোম লোন পেয়ে যাবেন। লোন নিয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হবে না।
হাই ডেবট টু ইনকাম রেশিও
আয়ের বেশিরভাগ অংশই যদি লোন দিতে চলে যায়, তাহলে ব্যাঙ্ক অ্যাপ্লিকেশন রিজেক্ট করে দেবে। তখন চাইলেও লোন পাওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আয়ের যদি ৪০-৫০ শতাংশের বেশি লোন দিতে চলে যায়, তাহলে লোন না পেতেও পারেন। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখুন। চেষ্টা করুন আয় অনুযায়ী লোন নেওয়ার। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে।
লোন ঠিক ঠাক শোধ না দেওয়া
লোন দেওয়ার আগে ক্রেডিট হিস্ট্রি চেক করবে ব্যাঙ্ক। তারা দেখবে এর আগে ঠিক কীভাবে লোন শোধ করা হয়েছে। ঠিক সময় ইএমআই দেওয়া হয়েছে কি না। আর সেই হিস্ট্রিতেই যদি কোনও গলত থাকে, তাহলে লোন না মিলতেও পারে। তাই এখন থেকে লোন ঠিক ঠাক শোধ করুন। তাহলেই ব্যাঙ্ক চোখ বন্ধ করে লোন দেবে।
রিটায়ারমেন্ট চলে আসা
রিটায়ারমেন্ট যদি চলে আসে, তাহলেও ব্যাঙ্ক লোন না দিতে পারে। কারণ, অবসরের পর উপার্জন কমে যেতে পারে। সেই সময় লোনের টাকা শোধ করা হতে পারে কঠিন। আর এই বিষয়টা মাথায় রেখেই ব্যাঙ্ক লোন দিতে চায় না। তাই কখন হোম লোন নিতে চাইছেন, তখন আপনার বয়স কত, এই বিষয়গুলিও মাথায় রাখা জরুরি।
পর্যাপ্ত আয় না থাকা
অনেক সময় যত টাকা লোন চাওয়া হচ্ছে, সেই অনুযায়ী আয় থাকে না। আর এই বিষয়টা মাথায় রেখেই ব্যাঙ্ক লোন রিজেক্ট করে দেয়। তাই হোম লোন নিতে চাইলে সেই অনুযায়ী ইনকাম তৈরি করুন। তাহলেই ব্যাঙ্ক অ্যাপ্লিকেশন রিজেক্ট করবে না। বরং হোম লোন নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করবে।