মহাকাশ মানে রহস্য। কত কী যে লুকিয়ে আছে কে জানে! ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের চোখে তেমনই জিনিস নজরে এল। তাঁরা বিশ্বের আরও কয়েকজন মহাকাশ বিজ্ঞানীর সঙ্গে কাজ করছিলেন। আর তখনই তাঁদের নজরে আসে সেই রোমাঞ্চকর জিনিস।
তাঁরা দেখতে পান একটি তারামন্ডল। এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। তবে হঠাৎ সেটি উধাও হয়ে যায়। আর তার পর থেকে সেটির কোনও হদিশ নেই। অনেক অপেক্ষা করা হয়েছে। তবে সেটিকে আর দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে তারা আকাশের নতুন এবং পুরনো ছবির তুলনা করেন। তখন তারা দেখতে পান ৯টি তারার এক অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে।
সেগুলি এক বার দেখা যাচ্ছিল। আবার তারপর সেগুলি উধাও হয়ে যাচ্ছিল। আর সেগুলি ভিন গ্রহের প্রাণী (Alien) কিনা, তা নিয়ে শোরগোল পড়েছে।
ভারতীয় বিজ্ঞানী অলোক গুপ্তা একটি গবেষণা করেছিলেন। সেই গবেষকদলে ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ছিলেন সুইডেন, স্পেন, আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা রাতের আকাশের একটি ছবি নিয়ে কাজ করছিলেন। সেটি ১৯৫০ সালের ১২ এপ্রিল রাতের ছবি।
সেখানে যে গ্লাস প্লেটের ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত পালোমর মানমন্দিরে এক্সপোজ করা হয়।
আর তখন দেখতে পাওয়া এবং গায়েব হয়ে যাওয়া তারার ব্যাপারে জানা যায়। আধ ঘণ্টা পরের ছবিতে দেখা যায় সেই তারা আর নেই।
মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে সেই ঘটনা এই প্রথম। যেখানে একটি তারামন্ডলকে একবার দেখা গেল আর খানিক বাদেই সেটি গায়েব। এটা সবাইকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল। সমস্যা হল কী কারণে এটি হল তার কোনও ব্য়াখ্যা নেই।
অলোক গুপ্তা জানান, আমরা একটা ব্য়াপারে নিশ্চিত করে বলতে পারি। আর তা হলে সেই ছবিতে তারার মতো কিছু দেখা গিয়েছিল। তবে সেগুলি সেখানে থাকার কথা নয়। আমরা জানি না সেগুলো কী। ফোটোগ্রাফিক প্লেটে তেজস্ক্রিয় কণা ছিল কিনা, যার কারণে এই বিভ্রান্তি, তা-ও দেখা হচ্ছে।
এর ফলাফল জানতে পারা গেলে অনেক নতুন সম্ভাবনা খুলে যেতে পারে।